বৃহস্পতিবার ● ৫ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » ডুমুরিয়ায় গাছীর অভাবে পড়ে আছে অর্ধেকেরও বেশী খেঁজুর গাছ
ডুমুরিয়ায় গাছীর অভাবে পড়ে আছে অর্ধেকেরও বেশী খেঁজুর গাছ
অরুণ দেবনাথ , ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়ায় গাছীর অভাবে পড়ে আছে উপজেলার অর্ধেকেরও বেশী খেঁজুর গাছ।ফলে খেঁজুরের রস,গুড় ও পৌষের উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। আশু সরকারী ভাবে পদক্ষেপ না নিলে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাবে খেঁজুরের রস,গুড় ও পৌষের উৎসব। ধস নামবে গ্রামীন অর্থনীতীতে। কেবল মাত্র সরকারী উদ্যোগে খেঁজুরের ‘রস ও গুড়‘ প্রকল্প হাতে নিয়ে গাছীদের উৎসাহী ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নুতন গাছী তৈরী করে এ সমাস্যা সমাধান যোগ্য বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাজায় ডুমুরিয়ায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে ৩৬ হাজারেরও বেশী খেঁজুর গাছ রয়েছে। যা প্রতি বছর শীতের শুরুতে খেঁজুরের রস মৌসুমে খেঁজুর গাছ তোলা,খেঁজুর রসের পিঠা, পায়েষ তৈরী ,নুতন রসের পাটালী সহ পৌষ পার্বনের ধুম পড়ে থাকে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে। কিন্তু এ বছর তার কোন কিছুরই দেখা মিলছে না। কি কারনে গাছ গুলি পড়ে আছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডুমুরিয়া স্বর্নপাড়ার নাজমা আক্তার,ডুমুরিয়া সদরের রেবেকা সুলতানা,পূর্ব ডুমুরিয়ার গাজী মেহেদী হাসান,চিংড়ার অরুন দেবনাথ, শোভনার নারায়ন মন্ডল সহ একাধিক গাছ মালিক জানান গাছী খুজে পাওয়া যায়নি তাই আমাদের গাছ গুলি পড়ে আছে।ফলে খেঁজুরের রস,গুড় ও পিঠা-পায়েশ থেকে আমাদের পরিবার বঞ্চিত।ছেলে-মেয়েদের দাবির মুখে দেড় টাকা করে দু‘ভাড় রস কিনে কোন রকম তাদের সান্তনা দিয়েছি।অন্যান্য বার গাছ তুলে জ্বালানী পেয়ে থাকি,খেঁজুরের পাতা দিয়ে পাটি নির্মান করি,তা ছাড়া ভরপুর রস ও গুড়তো
আছেই। তারা এ বছর কয়েক জন গাছীর সাথে কথা বলেছি তারা প্রতিটি গাছ তুলতে লম্বা টাকা চায়।তারপরও বলে সময় নেই। এ বিষয়ে তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।বাধ্য হয়ে গাছ ফেলে রাখতে হয়েছে।ডুমুরিয়ার গাছী জানুকালাল,চিংড়ার রফিক শেখ,ভান্ডারপাড়ার লুৎফর,যশোর আলী সহ আনেক গাছী জানান এখন নুতন করে কেউ আর এ পেষায় আসছে না।পুরাতন যারা ছিল তাদের মধ্যে ্অনেকেই মারা গেছে। তারা আরো জানান তাদের ছেলে মেয়ে লেখাপড়া শিখছে গাছে চড়বে কেন ? আমাদের মৃত্যু হলে এ কাজ হয়তো বন্দ হয়ে যাবে। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান খেঁজুর গাছ না তুললে দাহীক বৃদ্ধি কমহয়।তিনি আরো বলেন খেঁজুরের রস,গুড়,পাতা দিয়ে তৈরী কুঠির শিল্প গ্রামীন অর্থনীতীতে ব্যাপক ভুমিকা রেখে আসছে।সরকারী উদ্যোগে খেঁজুরের ‘রস ও গুড়‘ প্রকল্প হাতে নিয়ে গাছীদের উৎসাহী ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নুতন গাছী তৈরী করে এ সমাস্যা সমাধান যোগ্য। অন্যথায় বিলুপ্ত হবে এ শিল্প।