শুক্রবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » পাইকগাছায় অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এলজিইডি
পাইকগাছায় অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এলজিইডি
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় পল্লী সড়ক নির্মাণ, সড়ক উন্নয়ন, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কক্ষ সম্প্রসারণ, সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন সহ নারীর ক্ষমতায়ন ও এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। স্থানীয় এ উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রদর্শন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর অর্জন করেছে সেরা পুরস্কারের স্বীকৃতি। উল্লেখ্য, গ্রামীন যোগাযোগ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প সহায়ক, অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষার আধুনিকায়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক পুনুরুজ্জীবন, গ্রামীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মান উন্নয়ন সহ সরকারের গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচি বাংলাদেশকে দ্রুত বদলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ থেকে নিু মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। লক্ষ্য এখন আরো বি¯তৃত ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশের সাফল্য এখন বিশ্বব্যাপী উদাহরণ। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এমডিজি’র ৮টি অভিলক্ষ্যের মধ্যে ৫ টি অভিলক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ক্ষুধা-দারিদ্র পীড়িত, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার চিরন্তন রুগ্ন প্রতিচ্ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব অর্থনীতির উদীয়মান ব্যাঘ্র। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে অন্যতম সরকারী একটি সংস্থা। উন্নত দেশের উপযোগী উন্নত গ্রাম ও নগর গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এলজিইডি কাজ করছে। এলজিইডি’র প্রকল্প সমূহ দারিদ্র বিমোচন সহ এমডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে প্রভাবক হিসাবে কাজ করেছে। একই ভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নেও এলজিইডি নিরলস ভাবে কাজ করছে। সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে এলজিইডি গত ৮ বছরে (২০০৯-২০১৬) খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীন রয়েছে বিভিন্ন কার্যক্রম। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলীর সার্বিক প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থান, কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রবেশগম্যতা, দারিদ্র মুক্তি ও মানব উন্নয়নে গত ৮ বছরে এলাকায় ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১শত কিলোমিটার পল্লী সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। চলমান রয়েছে ১৬ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ। গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ও গতিশীল সড়ক নেটওর্য়াক গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৮.২৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়েছে ৮৩.৪১ কিলোমিটার সড়ক। গ্রামীন জনজীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচনে ২২.৭৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬৫.০০ মিটার দৈর্ঘের ১৮৬টি ব্রীজ/কালর্ভাট নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে ৯৬ মিটার ব্রীজ/কালর্ভাটের কাজ। পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসাবে সেবা প্রদানকারী সংস্থা গুলোর বিকাশ ও গ্রামীন অর্থনীতির গতিশীল সঞ্চালনে ৫.০৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ও ১০টি হাট বাজার/ ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। চলমান রয়েছে ১টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন সহ ১০টি হাটবাজার/ ঘাট নির্মাণ কাজ। প্রাথমিক শিক্ষাই শতভাগ শিশুর উপস্থিতি নিশ্চিত ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ২৪.৯৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ সম্প্রসারণ ও ৩টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। চলমান রয়েছে ২৫টি বিদ্যালয় নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ। এদিকে গত ৯/১১ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলার স্টলে তুলে ধরা হয় এলজিইডি’র স্থানীয় এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড। মেলায় স্থান পায় ৫১টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল। ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে সেরা পুরস্কারের স্বীকৃতি প্রদান করা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগকে। উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, উন্নয়নে ভাসছে দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে এলজিইডি প্রকল্প সমূহ দারিদ্র বিমোচন সহ এমডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে এলজিইডি প্রভাবক হিসাবে কাজ করেছে। একই ভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নেও এলজিইডি নিরলস ভাবে কাজ করছে। উন্নয়ন মেলার সেরা পুরস্কার কাজের স্বীকৃতি বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ কর্মকর্তা জানান।