রবিবার ● ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় ৩৮টি গ্রামে গভীর নলকুপ না থাকায় অর্ধলক্ষ লোক চরম ভাগান্তীতে
ডুমুরিয়ায় ৩৮টি গ্রামে গভীর নলকুপ না থাকায় অর্ধলক্ষ লোক চরম ভাগান্তীতে
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ও মাগুরখালী ইউনিয়ের ৩৮ টি গ্রামে গভীর নলকুপ স্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় নিরাপদ ও সুপেয় পানির অভাবে চরম ভোগান্তীতে রয়েছে এলাকার প্রায় অর্ধলক্ষ লোক।গ্রামগুলিতে লবনাক্ত,আরসোনিক যুক্তও মাটির নীচে উপযুক্ত লেয়ার খুঁজে না পাওয়ায় বার বার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।যুগ- যুগ কেটে গেলেও এ সমাস্যার সমাধান হয়নি আজও।ফলে পুকুর ও বৃষ্টির পানিই একমাত্র সম্বল এলাকাবাসির।তবে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে আরসোনিক আয়রন রিমুভল প্লান(এআইআরএফ) প্রযোগ করে এ সমাস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। এলাকাবাসি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাজায় নিরাপদ ও সুপেয় পানির জন্য উপজেলায় প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ লোকের
জন্য এ পর্যন্ত ৫১৪৫ টি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে।এতে উপজেলায় ৬৬ শতাংশ লোকের নিরাপদ ও সুপেয় পানি
নিশ্চিত হয়েছে।কিন্ত শত ইচ্ছা থাকলেও উপজেলার মাগুরাঘোনা ও মাগুরখালী ইউনিয়ের ৩৮ টি গ্রাম লবনাক্ত,আরসোনিক যুক্তও মাটির নীচে উপযুক্ত লেয়ার খুঁজে না পাওয়ায় আজও গভীর নলকুপ স্থাপন সম্বব হয়নি।গ্রাম গুলির মধ্যে রয়েছে মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে মাগুরাঘোনা,চন্ডিপুর,কুড়েঘাট,আরশনগর,বেতাগ্রাম,কাঞ্চনপুর,ঘোষড়া ও বাদুড়িয়া। মাগুরখালী
ইউনিয়নে আন্ধার মানিক,মহাদেবপুর,খোরেরাবাদ,বৈঠাহারা,হাবুড়িয়া,গজালিয়া,হোগলাবুনিয়া,নাথেরপুর,চিত্রামারি,শেখের
টেক,ভোরামেরবেড়,ঝরঝরিয়া,মাগুরখালী,কোড়াকাটা,হেতালবুনিয়া,শুকরমারি,পার মাগুরখালী,আলাদিপুর,কাঠালিয়া,পুর্ব পাতিবুনিয়া,শিবনগর,ঘুরনিয়া,গাজী নগর,কৈপুকুরিয়া,খাগড়াবুনিয়া,লাঙ্গলমোড়া,চন্ডিপুর,কাঞ্চন নগর ও বাঘারদাড়। এখানে
প্রায় অর্ধলক্ষ লোকের জন্য রয়েছে মাগুরাঘোনা কিছু এলাকায় ৮টি ও মাগুরখালী ইউনিয়নে মাত্র দু‘টি গভীর নলকুপ।
ভুক্তভোগী এলাকার আঃ আজিজ শেখ,রহিমা বেগম,কার্তিক মন্ডল,আঞ্জনা দেবী,নারায়ন মন্ডল,লক্ষি রানী সহ অনেকেই
বলেন‘আমরা জন্ম থেকেই জ্বলছি‘। পুকুর ও বৃষ্টির পানি কপালে নিয়েই আমাদের জন্ম। জানিনা আদৌ এর সমাধান হবে কিনা।উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা পৃথ্বীশ মন্ডলজানান গ্রামগুলি লবনাক্ত,আরসোনিক যুক্তও মাটির নীচে উপযুক্ত লেয়ার খুঁজে না পাওয়ায় বার বার চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়েছি।তবে ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে(এআইআরএফ) প্রযোগের মাধ্যমে এ সমাস্যা কিছুটা সমাধানের লক্ষে চাহিদা প্রেরন করা হয়েছে। তবে এটি খুবই ব্যায়বহুল হওয়ায এই মুহুর্তে সর্বত্র স্থাপন সম্ব নয়। শুরু হলে আস্তে আস্তে সব এলাকায় এ পৌছে যাবে।