সোমবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » ডুমুরিয়ায় বীজাগার সংরক্ষণের অভাবে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি
ডুমুরিয়ায় বীজাগার সংরক্ষণের অভাবে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি
অরুণ দেবনাথ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়া উপজেলায় কৃষি অধিদপ্তরের বীজ সংরক্ষনের জন্য নির্মিত ১২টি বীজাগার সংরক্ষণ ও সংস্কারের
অভাবে জায়গা বেদখল ও পরিত্যাক্ত ভবনগুলির মালামাল বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ভবনগুলি পরিত্যাগের
পর ৩৫ বছর কেটে গেলেও আজও সংস্কার বা নির্মিত হয়নি নুতন ভবন।ফলে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার। তবে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছে জায়গাগুলি বেদখল হয়নি।শিগ্রই হয়তো নুতন
ভবনের কাজ শুরু হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাজায় ডুমুরিয়ায় এর আগে ১২টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিতছিল
ডুমুরিয়া থানা। যা ১৯৬৫ সালে বিভক্ত হয়ে মাগুরখালী ও রংপুর নামে আরো দু‘টি ইউনিয়ন গঠনের মধ্য দিয়ে ১৪টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত হয় ডুমুরিয়া থানা। সে কারনে তৎকাীলন সময়ে কৃষি অধিদপ্তরের বীজ সংরক্ষনের জন্য ১২টি ইউনিয়নে নির্মিত হয়েছিল ১২টি বীজাগার।১৯৮৩ সালে উপজেলা গঠনের পর থেকে ওই ভবনগুলি ত্যাগ করে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে স্থানন্তর করা হয়।সেই থেকে ভবনগুলি সংরক্ষণের অভাবে ভবনের ইট-রড সহ অন্যান্য উপকরন বিনষ্ট ও চুরি হয়ে যাচ্ছে। যা দেখার যেন কেউ
নেই।জাযগাগুলি কোথাও বেদখল আবার কোথাও ঝোপ-ঝাড় ও খানা-খন্দে পরিনত হয়েছে। ফলে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার।উপজেলার শোভনা ইউনিয়ন বীজাগারে স্থাপিত হয়েছে
পুলিশ ফাঁড়ী।ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের বীজাগারের সামনে চলছে রিং- স্লাভ নির্মানের কাজ।আনুরুপ ভাবে অন্যান্য বীজাগার গুলিও ব্যাবহারিত হচ্ছে এলাকাবাসির খেয়াল খুশিতে।এ প্রসংগে উপজেলা কৃষি
অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান ভবনগুলির অবস্থান ও হালচাল তুলে ধরে প্রতি মাসিক প্রতিবেদনে
জেলা কৃষি অফিসে প্রেরন করা হয়ে থাকে।তিনি আরো বলেন ইতপূর্বে ডুমুরিয়ার আটলিয়া ইউনিয়ন
বীজাগারের কাজ শুরু হয়েছে। আস্তা আস্তে সব ইউনিয়নে নুতন ভবন নির্মান হবে।জায়গা গুলি তাদের দখলে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন ভবনের মালামাল চুরি ও বিনষ্ট হলে এই মুহুর্তে কিছু করার নেই।