মঙ্গলবার ● ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
এস ডব্লিউ নিউজ: একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বায়ান্নর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ০১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তারা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তারপর দলীয় সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা।
রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির বহর শহীদ মিনারে পৌঁছায়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একত্রে শহীদ মিনারের মূল বেদীতে উঠে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। এরপর নির্ধারিত সময়ে তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ফুল দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল কর্মসূচি। এর পরপরই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদ্বয় ও তিন বাহিনীর প্রধান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা। এ সময় কূটনৈতিকদের সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এ ছাড়া ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়-মহানগর আওয়ামী লীগ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে আইজিপি শহীদুল হকের নেতৃত্বে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। এরপর শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গন সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের প্রধানের নেতৃত্বে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশ ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ভিভিআইপি পদমর্যাদাধারীরা প্রাঙ্গন ত্যাগের পর ধীরে ধীরে শহীদ মিনারে জনতার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তি এমনকি অনেক ক্ষুদে শিশুদেরও পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা যায়। শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রোভার স্কাউটের বিপুল সংখ্যক কর্মীকে কাজ করতে দেখা যায়।
রাত দেড়টার দিকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় দলটির সিনিয়র নেতা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।