রবিবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » অবশেষে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হলো পাইকগাছার আ’লীগনেতা আজিজ গোলদার
অবশেষে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হলো পাইকগাছার আ’লীগনেতা আজিজ গোলদার
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় অবশেষে অবরুদ্ধ জীবন-যাপন থেকে মুক্ত হলো আ’লীগনেতা আব্দুল আজিজ ও তার পরিবার। রোববার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন সরকার দলীয় এমপি’র দেওয়া উচু প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়ার মাধ্যমে অবরুদ্ধর কবল থেকে মুক্ত হয় আজিজ পরিবার। স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক ১ বছর আগে আ’লীগনেতা আজিজের বসতবাড়ীর চারিপাশে উচু প্রাচীর দিলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে আজিজের পরিবার। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হলে বিষয়টি আলোচিত হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, পাইকগাছা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সরল মৌজার ৫০ শতক জমির মধ্যে প্রায় ২১ শতক জমি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক ও তার ছেলে শেখ মনিরুল ইসলামের সাথে সরল গ্রামের মৃত মাদার গোলদারের ছেলে আ’লীগনেতা আজিজ গোলদারের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। সূত্রমতে, এমপি পুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের দিকে লতা ইউনিয়নের পানা গ্রামের জৈনক দুই ভাই ঠাকুর দাশ হালদার ও অজিত হালদারের নিকট থেকে ৫০ শতক জমি পাওয়ার নামা করে নেয়। পাওয়ার নামা করে নেওয়ার কয়েক দিন পর এমপি পরিবার উক্ত জমির চারিপাশ দিয়ে উচু প্রাচীর নির্মাণ করলে প্রাচীরের মধ্যে বসবাসরত আ’লীগনেতা আজিজ ও তার পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আ’লীগনেতা আজিজের দাবী, এমপি ও তার পরিবার যে জায়গা জুড়ে সীমানা প্রাচীর দিয়েছে তার মধ্যে প্রায় ২১ শতক নিজ সম্পত্তি রয়েছে। উক্ত সম্পত্তি তিনি ও তার পরিবার ১৯৪৬ সাল থেকে ভোগ দখল এবং ৩০ বছর যাবৎ বসতবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। আর এমপি পরিবার দাবী করে আসছে যে জমির উপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে ওই জমির মূল মালিক পানা গ্রামের ঠাকুর দাশ হালদার ও অজিত হালদার। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি মামলাও হয়। এমনকি অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি চেয়ে আ’লীগনেতা আজিজ প্রধানমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপও কামনা করেন। প্রাচীর নির্মাণের শুরুতেই ঘটনাটি অনেকটাই আলোচিত হয়ে ওঠার কিছুদিন পর নিস্তব্দ হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন আগে বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি’তে প্রচারিত হওয়ার পর টানা গত ২-৩ দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি ফলাও করে প্রচারিত হয়। অবশেষে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসান এবং ওসি মারুফ আহম্মেদ এর উপস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন রোববার সকাল ও বিকালে দু’দফা অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে সীমানা প্রাচীর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দিলে আজিজ পরিবার অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত পাই।