বৃহস্পতিবার ● ২৩ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » খুলনার ডুমুরিয়ায় এল,সি,এস শ্রমিকদের ফাঁকি দিয়ে ব্লু-গোল্ড খাল খননের কাজের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে
খুলনার ডুমুরিয়ায় এল,সি,এস শ্রমিকদের ফাঁকি দিয়ে ব্লু-গোল্ড খাল খননের কাজের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া (খুলনা)
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ব্লু-গোল্ড সমন্ময়ে নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে ভরাট খাল খনন কাজের নামে চলচ্ছে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি। ডুমুরিয়া উপজেলার ২৬ নং পোল্ডারে গত ২০১৫/১৬ অর্থ বছরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ভরাট খাল খনন কাজে বরাদ্ধ হয়। ওই কাজ বিভিন্ন জটিলতা দেখিয়ে চলতি অর্থবছরের ২০১৭ সালের ২৫ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য পুনরায় সময় বাড়ানো হয় বর্তমান এসকাভিটার মেশিন দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। যে কারণে ব্লু-গোল্ডের এল,সি,এস শ্রমিকরা কাজ থেকে বঞ্চিত করে বরাদ্ধের টাকা কম খরচ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ব্লু-গোল্ডের কতৃপয় কর্মকর্তাসহ ইউনিয়ন ডবলু, এম, এসের কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তিবর্গ।
সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৫/১৬ সালে উপজেলার ২৬ নং পোল্ডারে চিংড়া কোদালকাটা খাল শাখাবাহী নদী ও বাবলাতলা খাল খনন কাজের জন্য বরাদ্ধ হয়।এর মধ্যে ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্ধ হয় বাবলাতলা খাল ৫ শত ২৬ কিলোমিটার লম্বা খননের জন্য। ওই কাজটি ইউনিয়নের ২টি ডবলু এম,জির মাধ্যমে খনন কাজ করার নিয়ম রয়েছে আর এই খনন কাজ করবেন এলাকার ব্লু-গোল্ড সদস্য শ্রমিক এল,সি,এসদের মাধ্যমে। কিন্তু সেটি গোপন রেখে কম খরচে এসকেভিটার মেশিন দ্বারা খনন করা হচ্ছে বাকি টাকা আত্মসাৎ করার জন্য। একই অবস্থায় অপর কোদালকাটা খালসহ শাখাবাহী নদীটি ৪ শত ৯৬ কিলোমিটার লম্বা খননের জন্য বরাদ্ধ হয় ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ব্লু-গোল্ড সদস্যদের মধ্যে প্রতিটি ডবলু এম জির শ্রমিক অর্ধেক মহিলা ও পুরুষ নিয়ে মোট ১৬০ জন দিন মুজুরি দিয়ে কাজ করে খনন কারার নিয়ম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন কাজ করলাম না কিন্তু আমাদের নিকট থেকে খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে গেছে আর বলেছে তোমাদের কিছু টাকা দেওয়া হবে বিল পাশ করার পর। এসকাভিটার মেশিনের ড্রাইভার সূত্রে জানা যায় প্রতি দিন কাজ করা বাবদ ১৫ হাজার টাকা চুক্তি রয়েছে যে কাজ আছে এতে প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। ডবলু এম জির সভাপতি রিজাউল সরদার বলেন আমি এই কাজের ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না বর্তমান চাপের মূখে আছি আমাকে স্বাক্ষর দিতে হচ্ছে, না দিলে আমার ক্ষতি করবে এর বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে এ পর্যন্ত ২ কিস্তি টাকা তুলেছি ১ লাখ ৭০ হাজার আর ৬ লাখ টাকার বিল পাশ করতে হলে নারর্গিস আপাকে খুশি করতে হয়, নাহলে বিল পাশ হয় না।এ ব্যাপারে ব্লু-গোল্ডোর সিনিয়ার কোয়ালিটি ইঞ্জিনিয়ার আজিজুর রহমান বলেন আমাদের কোন কাজ ন্ইে আমাদের দেখাশুনার কাজ আর বাকি সবকিছু পানি উন্নায়ন বোর্ড কতৃপর্ক্ষের দায়িত্ব। এ ব্যাপারে কথা হয় খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম সাথে, তিনি বলেন এল,সি,এসদের মাধ্যমে খনন কাজ করার কথা এখানে এসকাভিটার মেশিন দিয়ে কাজ করার নিয়ম নেই। এই খাল খননের সম্পূর্ন দায়িত্বে আছে ব্লু গ্লোল্ড।