শুক্রবার ● ৭ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » পাটকেলঘাটা কুমিরায় হতদরিদ্র স্বপ্নকর্মী কৌশল্যা বিশ্বাস জীবন সংগামে জয়ী
পাটকেলঘাটা কুমিরায় হতদরিদ্র স্বপ্নকর্মী কৌশল্যা বিশ্বাস জীবন সংগামে জয়ী
মো. রিপন হোসাইন,পাটকেলঘাটা ॥
‘বাংলাদেশ সরকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে অর্থায়নে ও ইউএনডিপি কারিগরি সহযোগিতায় বেসরকারী সংস্থার সুশিলনের বাস্তবায়নে উৎপাদনশীল সম্বাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহনে নারীর সামর্থ উন্নয়ন লক্ষে’ হতদরিদ্র মহিলাদের স্বাবলম্বী করার অঙ্গিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এমনি এক জীবন সংগ্রামী নারী কৌশল্যা বিশ্বাস(৪০)পাটকেলঘাটা থানার অন্তগত কুমিরা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। তবে তিনি স্বামী পরিত্যাক্ত ,সংসারে ২পুত্র । স্বপ্ন প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি তার গ্রামের বাড়ীতে একটি পোল্টিফার্ম ও মুদি দোকার চালু করে মাত্র ১০হাজার টাকা দিয়ে শুরু করে বর্তমানে সেটা ২৫-৩০ হাজার টাকা মালসামগ্রী আছে। ঐ মুদির দোকান থেকে প্রত্যেক দিনে ২’শ / ৪’শ টাকা উর্পাজন করে থাকে ।বিগত দিনগুলো খুবই কষ্ঠে ছিল।ছেলেমেয়েদের মুখে দু’বেলা দু’মুটো অন্ন তুলে দিতে দিনরাত অন্যের জমিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে ৩জন সংসার চালিয়ে আসছিল। জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে চাইলেও দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জারিত । প্রতিদিন ভোর হলেই সংসারের চাকা সচল রাখতে অ-ভূক্ত অবস্থায় চলে যেত দিনমজুরের কাজে । তবে এভাবে আর কতদিন। মনের জোরেই সন্তানদের দিকে তাকিয়ে শুধু দু’বেলা দু-মুঠো অন্নের সন্ধানে সৎসামান্য মজুরীতে । কুল হারা মাঝির মত কৌশল্যা জীবন। তবুও সংসাবের মোহ তাকে বাঁচালেও জীবন তরী ডুবু-ডুবু করে।
এমনই সময় অর্থ্যাৎ ২০১৫ সালে আগষ্ট মাইকে বাঁজতে পায় পাটকেলঘাটা ৪নং কুমিরা ইউনিয়নে স্বপ্ন প্রকল্পের ৩৬জন হতদরিদ্র মহিলা নিয়োগ করা হবে । শুনে কৌশল্যা বিশ্বাস নির্ধারিত স্থানে এসে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে এসে লটারীর মাধ্যমে কাজটি মিলে যায় । নিদিষ্ট মেয়াদে কাজের চুক্তিতে রাস্তায় মাটি দিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করে। প্রতিদিন ২’শ টাকা হিসেবে পেতে শুরু করে ।
স্বপ্ন প্রকল্পের কাজ পেয়ে নিজ নামে ব্যাংক থেকে দৈনিক মজুরির টাকা উত্তোলনের সময় সঞ্চায় হিসেবে ৫০ টাকা করে রেখে দিতো। বর্তমানে নিজ ব্যাংক এক্যাউন্টে ২২ হাজার ১’শ ৫০ টাকা রয়েছে। এই এ প্রকল্পে প্রত্যেকে সদস্য’র এ্যাকাউন্টে রয়েছে। ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে প্রকল্পের প্রথম মেয়াদে শেষ হয়েছে। কৌশল্যা সাবলম্ববী হয়ে উঠা কৌশল্যা বিশ্বাস এই প্রতিবেদককে সাথে একান্ন আলাপচারিতায় তিনি বলেন,আমার আমার স্বামী তালাক দিলে ২ সন্তানকে নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতাম। পরের বাড়ীতে ও দিন মজুরী হিসেবে কাজ করে সংসার চালাতে হতো। তিন বেলা ঠিকমতো খেতে পারতাম না । ভাল পোশাক পরার মতো ভাগ্য ছিল না । স্বপ্ন প্রকল্পের কাজ পেয়ে এখন অনেক সুখী সংসার সন্তান নিয়ে ভাল আছি । এখন আমি এখন আমি বাড়ীর পাশে পোল্টি ফার্ম ও ছোট একটি মুদির দোকান করে সংসারটা খুবই ভাল যাচ্ছে।