রবিবার ● ৯ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » দারিদ্রকে হার মানিয়ে জালালপুরে বিধবা স্বপ্নকর্মী কল্যানী বিশ্বাস মাটির কাজ শেষে মাছ ব্যবসায়ে স্বাবলম্বী
দারিদ্রকে হার মানিয়ে জালালপুরে বিধবা স্বপ্নকর্মী কল্যানী বিশ্বাস মাটির কাজ শেষে মাছ ব্যবসায়ে স্বাবলম্বী
মো. রিপন হোসাইন,পাটকেলঘাটা ॥
‘বাংলাদেশ সরকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে অর্থায়নে ও ইউএনডিপি কারিগরি সহযোগিতায় বেসরকারী সংস্থার সুশিলনের বাস্তবায়নে উৎপাদনশীল সম্বাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহনে নারীর সামর্থ উন্নয়ন লক্ষে’ এমনি এক হতদরিদ্র মহিলা জীবন সংগ্রামী নারী বিধবা কল্যানী বিশ্বাস স্বপ্ন প্রকল্পের মাটির কাজে তার ভাগ্যের চাকা খুলে যায়। এমই একজন হতদরিদ্র জীবন সংগ্রামী মহিলার নাম কলানী দাসী (৪০) তিন সন্তানের জননী। ১ছেলে ২ মেয়ে তার মধ্যে বড় মেয়ে প্রতিবন্ধী । স্বপ্ন প্রকল্পের কাজের থেকে কিছু টাকা জমা করে একটি ব্যবসা করছি। বর্তমানে মাটির কাজ শেষে গ্রামের ভিতরে বাড়ী বাড়ী যে মাছ বিক্রয় করছে। এখন ২’শ / ৩’শ টাকা আয় করে আসছে।
স্বামীর তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর ছেলেমেয়েদের মুখে দু’বেলা দুমুটো অন্ন তলে দিতে দিনরাত অন্যের বাড়ীতে কাজ করে ৪জনের সংসার চালানো খুবই কষ্টের ছিল। কুল হারা মাঝির মত কল্যানী জীবন। তবুও সংসাবের মোহ জীবন তরী ডুবু-ডুবু করে।
ঠিক এমনই সময় অর্থ্যাৎ ২০১৫ সালে আগষ্ট মাইকে বাঁজতে পায় উপজেলা জালালপুর ইউনিয়নে স্বপ্ন প্রকল্পের ৩৬জন হতদরিদ্র মহিলা নিয়োগ করা হবে । শুনে কল্যানী বিশ্বাস নির্ধারিত স্থানে এসে লটারীর মাধ্যমে কাজটি মিলে যায় ।নিদিষ্ট মেয়াদে কাজের চুক্তিতে রাস্তায় মাটি দিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করে। প্রতিদিন ২’শ টাকা হিসেবে পেতে শুরু করে ।
স্বপ্ন প্রকল্পের কাজ পেয়ে নিজ নামে ব্যাংক থেকে মজুরির টাকা উত্তোলনের সময় সঞ্চায় হিসেবে ৫০ টাকা করে রেখে দিতো। বর্তমানে কল্যানী সংসার চালিয়ে প্রতিবন্ধী সন্তানদের চিকিৎসা করিয়ে ,সন্তানদের লেখা পড়ার খরচ চালিয়েও তার ব্যাংক ২২ হাজার ১’শ ৫০ টাকা করে প্রত্যেকে এ্যাকাউন্টে রয়েছে। বর্তমানে কল্যানী বিশ্বাস সংসারে যে সু-বাতাস বইছে। প্রতিবেদককে সাথে একান্ন আলাপচারিতায় ,জালালপুর ৩ সন্তানের জননী কল্যানী বিশ্বাস বলেন, তিন বেলা ঠিকমতো খেতে পারতাম না । ভাল পোশাক পরার মতো ভাগ্য ছিল না । স্বপ্ন প্রকল্পের কাজ পেয়ে এখন অনেক সুখী সংসার নিয়ে স্বামী ও সন্তান নিয়ে ভাল আছি । এমনি করে একই প্রকল্পের স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখন প্রকল্পের মাটির কাজ শেষ করে গ্রামের ভিতরে বাড়ী বাড়ী যে মাছ বিক্রয় করছি। এখন ২’শ / ৩’শ টাকা আয় করি প্রতিদিন। অত্র ইউনিয়নে তপতি অধিকারী,ফরিদা বেগম,খদেজা বেগম,সেপালি হালদার, সাজেদা বেগমসহ অনেকে স্ববলম্বী হয়েছেন।