শনিবার ● ১৫ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » রাজনীতি » ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে তুলনা করে তেতুল হুজুরেরা এখন আপেল হুজুর হবার চেষ্টা করছে
ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে তুলনা করে তেতুল হুজুরেরা এখন আপেল হুজুর হবার চেষ্টা করছে
মইন উদ্দীন খান বাদল এমপি
মাগুরা প্রতিনিধি ॥ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরি সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল এমপি বলেছেন, ‘ভাস্কর্য ও মূর্তির মধ্যে পার্থক্য আছে। ইসলাম ধর্মে মূর্তি পূজাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রাচীনকালে এটিকে ঈশ্বরের সাথে তুলনা করে পূজা করা হতো এ কারণে। বাংলাদেশে ভাস্কর্যকে ওই অর্থে মূর্তির সাথে তুলনা করে এটির বিরুদ্ধে মৌলবাদীরা যে বক্তব্য দিচ্ছে সেটি ঠিক নয়। ইরাক, ইরান, জেদ্দাসহ অসংখ্য মুসলিম রাষ্ট্রের পথে পথে আমি এ ধরনের ভাস্কর্য আছে। সুতরাং ধর্মান্ধতার জায়গা থেকে যারা এটির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে। এদেরকে কোনক্রমেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। এই সমস্ত ফতোয়াবাজ তেতুল হুজুরেরা এখন এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে আপেল হুজুরে পরিণত হবার চেষ্টা করছে। তাদের প্রশ্রয় দিলে ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে’।
বৃহস্পতিবার বিকালে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে জেলা জাসদের একাংশ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। মাগুরা জেলা জাসদের সভাপতি এটিএম মহব্বত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করিম শিকদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নড়াইল জেলা সভাপতি হুমায়ুন কবির হীরু, মাগুরা জেলা জাসদ নেতা কামরুজ্জামান চপল, বাশারুল হায়দার বাচ্চু প্রমুখ।
মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সম্প্রতি ভারত সরকারের যে সব চুক্তি হয়েছে তার সবগুলোই বিগত কয়েকবছর ধরে চলমান ও ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের স্মারক স্বীকৃতি মাত্র। কোন চুক্তিই নতুন নয়। এমনকি সামরিক চুক্তি পর্যন্ত। কারণ সামরিক প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে তথ্য ও প্রযুক্তিগত বিনিময়ের কার্যক্রম বাংলাদেশের সাথে ভারতের অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। এটি কোন সামরিক চুক্তি নয়। বরং দক্ষতা ও তথ্যভিত্তিক যোগাযোগের সমঝোতা স্মারক। জঙ্গি ও সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদান দু’দেশের মধ্যে অনেক আগে থেকেই হয়ে থাকে। বিএনপি ও তাদের দোসররা এটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ক্ষেত্রে তাদের এই ভারত বিরোধিতা নতুন নয়। এ কারণে বাংলাদেশের জনগণ অনেক আগেই এটি প্রত্যাখ্যান করেছে’।
মইন উদ্দীন খান বাদল আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছিল এই আন্দোলনে জনসমর্থন ছিল বলে। আপামর জনসাধারণের সমর্থন ছাড়া কোন কর্মসূচীই সফল হয় না। এ কারণে এই দেশে জঙ্গিবাদ কোন দিন স্থান পাবে না। সে জন্যে বিভ্রান্ত হয়ে যারা এই পথে অন্ধের মতো ধাবিত হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা উচিত। কারণ বাংলাদেশের জনসাধারণ কখনই এটি সমর্থন করে না। ইসলাম ধর্মেও এটির স্বীকৃতি নেই’।