রবিবার ● ৭ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় মিনহাজ নদী নিয়ে আবারো মুখোমুখি দু’পক্ষ; সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন
পাইকগাছায় মিনহাজ নদী নিয়ে আবারো মুখোমুখি দু’পক্ষ; সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার আলোচিত মিনহাজ নদীর দখল ও কতৃত্ব নিয়ে দু’পক্ষ আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। রোববার সকালে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে সংঘাত, সংঘর্ষ এড়াতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে শুক্রবার দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় পূর্ব গজালিয়া মৎসজীবী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে শনিবার ৪৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করা হয়েছে। এদিকে বিরোধপূর্ণ নদী নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়ায় আবারো যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। তবে সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উল্লেখ্য উপজেলার গড়ইখালী, চাঁদখালী ও লস্কর ইউনিয়নের ২৫১ একর আয়তনের মিনহাজ নদীর দখল ও কর্তৃত্ব নিয়ে স্থানীয় রবগং ও এনামুল গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। নদীটি পূর্ব গজালিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে ইজারা গ্রহণ করা হলেও নদীটি বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালীরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। দখল ও কর্তৃত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে রবগং ও এনামুল গংদের মধ্যে একাধিক হামলা, মামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা, মামলার কারনে আতংকিত রয়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর ধারনা দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তি করা না গেলে বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। অনেকেই মনে করেন ইজারা বাতিল করে বিরোধপূর্ণ নদীটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে একদিকে এলাকার সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। অপরদিকে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধও নিরসন হবে। বিরোধের জের ধরে সর্বশেষ গত শুক্রবার দু’পক্ষের মধ্যে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় এ ঘটনায় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি ও পূর্ব গজালিয়া গ্রামের মৃত আবু বক্কর ঢালীর ছেলে রুস্তম ঢালী বাদী হয়ে এনামুলগংদের ৪৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছে যার নং-১০/০৬-০৫-২০১৭।