মঙ্গলবার ● ২৩ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » খুলনার ডুমুরিয়ায় জয়খালী নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদ
খুলনার ডুমুরিয়ায় জয়খালী নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদ
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
খুলনার ডুমুরিয়ায় এলাকাবাসির উদ্যোগে নির্মিত জয়খালী নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।পারাপারের সময়ে যত্র-তত্র ঘটছে দূর্ঘটনা,তবুও থেমে নেই পারাপার।প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকাবাসি চলাচল করলেও দেখার যেন কেউ নেই।এভাবে আর কত কাল চলতে হবে এমন প্রশ্ন এখন সকলের।তবে ২/১ বছরের মধ্যে এটিকে কাঠের সাঁকোতে পরিনত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি পরিষদ।সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় উপজেলার সাহস ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে জয়খালী নদী।জোয়ার-ভাটা প্রবাহমান নদীর উপর এলাকাবাসি
চলাচলের জন্য গত ৪/৫ বছর আগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মান করে। সাঁকোটির উপর দিয়ে উপজেলার গোলাই মারি,দিঘলিয়া,বাঁশতলা,খুটোখালী সহ কয়েক গ্রামের শত শত লোক পারাপার হয়।কিন্ত সংস্কারে অভাবে সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।নির্মানের পর থেকে এ পর্যন্ত কেউ নজর না দেয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।সরকারের পাসাপাসি এলাকাবাসিরও নজর নেই সে দিকে। ফলে চরম ভোগান্তী আর ইউনিয়ন পরিষদের দেয় আশ্বাস তাদের একমাত্র সম্বল হয়ে দাড়িয়েছে।গুলাইমারি এলাকার কার্তিক মন্ডল,ঝর্না রায়,অনুকুল বিশ্বাস,ছাত্র অমিত রায়,ছাত্রী কবিতা বিশ্বাস,ব্যাসায়ী নগেন জোয়াদ্দার অনেকে জানান ৪/৫টি গ্রামের শতশত মানুষের চলাচলের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ন এই সাঁকোটি নির্মান করা হয়েছিল ।কিন্ত এখন আর কেউ খেয়াল না করায় বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। পারাপারের সময়ে যত্রতত্র ঘটছে দূর্ঘটনা।স্কুলের ছাত্রছাত্রী সহ এলাকার বয়-বৃদ্ধদের পড়তে চরম বিপাকে।বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পারা-
পারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।এলাকাবাসির নজর নেই কেন এমন প্রশ্নে জবাবে তারা বলেন সম্প্রতি ভাটার
সময়ে নদীটি প্রায় শুখিয়ে যায়।তখন নদী পার হয়ে চলে বেশীর ভাগ লোকেরা জোয়ারের সময় থাকতে হয় ভাটার অপেক্ষায়।এ ভাবে জোয়ার-ভাটার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে।এ ভাবে আর কত চলতে হবে জানি না।এলাকাবাসির দূর্ভোগের কথা মাথায় আছে উল্লেখ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জয়নাল আবেদিন বলেন আগামী ২/১ বছরের মধ্যে এটিকে কাঠের সাঁকোতে পরিনত করা হবে।