মঙ্গলবার ● ২৩ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » আটলিয়ায় বিধবা ও বয়ষ্ক বিতরনে অনিয়ম, চাকুন্দিয়া ওয়ার্ডের হতদরিদ্র ৭০ উর্ধ্ব বৃদ্ধা হাসি বেগম ভাতা থেকে বঞ্চিত!
আটলিয়ায় বিধবা ও বয়ষ্ক বিতরনে অনিয়ম, চাকুন্দিয়া ওয়ার্ডের হতদরিদ্র ৭০ উর্ধ্ব বৃদ্ধা হাসি বেগম ভাতা থেকে বঞ্চিত!
শেখ আব্দুল মজিদ, চুকনগর খুলনাঃ- চুকনগরের আটলিয়া ইউনিয়নের বয়ষ্ক ও বিধবা ভাতা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত গরীবদের পরিবর্তে ধনীদের মাঝে দেয়া হচ্ছে এসকল ভাতা। দির্ঘদিন অতিবাহিত হলেও যেন বিষয়টি দেখার কেও নেই? ফলে প্রকৃত প্রাপ্যদার হতদরিদ্র অসহায় মানুষ সরকারী এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আটলিয়া ইউনিয়নের ৫নং চাকুন্দিয়া ওয়ার্ডে ৭০ উর্দ্দ বয়সী বিধবা হাসি বেগম দৃঃখ বিজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদক কে জানান, আমি একজন বিধবা মানুষ। আমার বয়স ৭০বছরের বেশি। আমি একজন ভূমিহীন ব্যক্তি। আমার মত অসহায় আর কেও আছে কিনা তা আমার জানা নেই। অতিকষ্ঠে অনাহারে অর্ধহারে দিন অতিপাত করছি। কিন্তু কবে পাব বয়ষ্ক ও বিধবা ভাতা তার নিশ্চয়তা নেই। ভোটের সময় আসলে মেম্বর ও চেয়ারম্যানরা অনেক কিছু দিতে চাই। কিন্তু পরে কিছুই পাইনে। জানা গেছে প্রকৃত হতদরিদ্রদের পরিবর্তে উৎকোচের বিনিময় জনপ্রতিনিধিরা তাদের দলের ও পছন্দের লোকদের কে বিভিন্ন ভাতার তালিকা চুড়ান্ত করে থাকেন। ইউপি সচিব রমেশ চন্দ্র সানা বলেন, বয়স হলে নিয়মানুযায়ী তারা ভাতা পাবেন। তবে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিরা বয়ষ্ক, বিধবা, ভিজিএফ, ভিজিডি কার্ডের তালিকা চূড়ান্ত করে থাকেন। তাতে অনেক সময় তাদের দলের ও পছন্দের লোকজন চূড়ান্তভাবে তালিকাভূক্ত করা হয়। এতে আমার করার কিছু থাকে না। চাকুন্দিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফা সরদার জানান, বর্তমান যেসব ভাতা প্রদান করা হচ্ছে তা আগের মেম্বরের তালিকাভূক্ত ছিল। এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট প্রতাপ কুমার রায় জানিয়েছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে সকল ভাতার ব্যাপারে অনিয়মের কথা শুনেছি। ক্ষমতাগ্রহণের পর অনিয়ম মুক্ত করে প্রকৃত দরিদ্রদের মাঝে সকল প্রকার ভাতা প্রদান করা হবে।