মঙ্গলবার ● ৩০ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » মাগুরার কোর্ট হাজতে হাজিরারত আসামীরা পাচ্ছেন দুপুরের খাবার
মাগুরার কোর্ট হাজতে হাজিরারত আসামীরা পাচ্ছেন দুপুরের খাবার
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরায় জেলখানা থেকে অদালতে আসা বিচার প্রার্থী হাজতী বা কয়েদীরা এখন থেকে নিয়মিত দুপুরের খাবার পাচ্ছেন। এতদিন তারা কোর্ট হাজতখানায় সারাদিন অভুক্ত থেকে বিকেলে বা সন্ধ্যায় কারাগারে ফিরতেন। বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক অনুধাবন করে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি বিষয়ক এক সভয় ব্রিটিশ আমল থেকে থেকে চলে আসা এ প্রথা ভাঙ্গলেন মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।
পাবলিক পসিকিউটর অ্যাড. কামাল হোসেন ও কোর্ট ইন্সেপেক্টর সাহজাহান সিরাজ জানান, সম্প্রতি জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান মাগুরা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হাজতি ও কয়েদীদের সাথে কথা বলেন। বন্দীরা তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন জেলার বিচার বিভাগের সর্ব্বোচ্চ কর্তাব্যাক্তির কাছে।
পরবর্তীতে গত ২০ মে জজ আদালত সম্মেলন কক্ষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুলিশ ম্যাজেস্ট্রিসি বিষয়ক এক সভায় সিদ্ধনুযায়ী জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান হাজিরারত আসামীদের দুপুরের খাবার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান নেন। যেহেতু জেলখানায় তাদের জন্য খাবারের বরাদ্দ থাকে সে কারনে তিনি জেলা কারাগার কতৃপক্ষকে কোর্ট হাজতে হারিরাত আসামীদের খাবার পাঠনোর নিদের্শ দেন। একই সাথে তিনি করাগার থেকে কোর্ট হাজতে খাবার আনা- নেওয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে পুলিশ সুপারের প্রতি আহবান জানান। অবশেষে সকলের সহযোগিতায় গত ২১ মে থেকে মাগুরা কোর্ট হাজত খানায় দুপুরের খাবার পাচ্ছেন আসাসমীরা।
পিপি অ্যাড. কামাল হোসেন বলেন, বিট্রিশ আমল থেকে এখন পর্যন্ত জেলখানার হাজতী বা কয়েদীদের সকালে রুটি ও গুড় সরবরাহ করা হয়। দুপুরে ও রাতে দেওয়া হয় ভাত। কিন্তু যে সকল আসামীকে সকালের নাস্তার পর মামলার হাজিরা দিতে আদালতে আনা হয় তাদের সারাদিন হাজত খানায় রাখার পর জেলখানায় ফেরত নিতে প্রায়ই সন্ধ্যা হয়ে যায়। আর জেলখানায় বিকেলেই আসামীদের রাতের খাবার দিয়ে লকআপে ঢোকানো হয়। সে কারনে কোর্টে হাজিরা দেওয়া আসামিকে সারাদিন এক রকম অভুক্তই থাকতে হয়। তবে এখন থেকে নিয়মমিত জেলখানা খেকে দুপুরের খাবার আসায় আদালতে হাজিরা দিতে আসা আসামীদের আর অভুক্ত থাকতে হচ্ছে না।