মঙ্গলবার ● ৩০ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যানের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যানের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দাকোপ প্রতিনিধি
গত ২১ মে বির্তকিত হরিদাস মন্ডল কর্তৃক খুলনা প্রেসক্লাবে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার বেলা ১১ টায় দাকোপ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগকে মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদীত দাবী করে বলেন, যে জায়গার ব্যাপারে মহামান্য আদালতের দোহায় দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে ওই জায়গার মালিক কশ্মিনকালেও হরিদাস মন্ডল ছিলেন না। প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে ক্রমান্বয়ে হস্তান্তরের অংশ হিসেবে ১৯৮৬ সালে আমি কবলা দলিলমুলে মোট জমি হতে ১.৩০ একর সম্পত্তি ক্রয় করে ভোগদখলকার আছি। সেখানে দীর্ঘকাল যাবৎ আমার নিজস্ব বাসভবন, দালান ভবন, সোনালী ব্যাংক, আবুল হোসেন মার্কেট, পুকুর গাছপালা বিদ্যুমান আছে যেটা আপনারা অবগত আছেন। ক্রয় করার পর থেকে অদ্যবধী আমি ওই সম্পতির বিপরীতে নিয়মিত কর খাজনা পরিশোধ করে আসছি, পক্ষান্তরে হরিদাস মন্ডল নিজের নামে কোন খাজনা দিয়েছেন এমন নজির দেখাতে পারবেনা। ওই সম্পত্তির মালিকপক্ষ পঞ্চানন বিশ্বাস বাদী হয়ে ২৮/১৯৮৮ নং বাটোয়ারা মামলা করে যেখানে আমিসহ ১১৮ জনকে বিবাদী করা হয়। সেখানে আমার অংশের অধিকার আইনত প্রতিষ্ঠিত হয়। খুলনা সহকারী জজ আদালতে হরিদাস মন্ডল প্রতিযোগীতা করে পরাজিত হয়ে ফের জেলা যুগ্ম জজ আদালতে ৩০৩/২০০৩ নং আপিল করে সেখানেও তিনি পরাজিত হয়। সর্বশেষ এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে ৩৪৬৯/২০১৫ নং রিভিশন করে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দাবী করে। আদালত তাঁর বিপরীতে প্রথমে ৩ মাস পরে আরো ১ বছরের ষ্টাটার্সকো (স্ব স্ব অবস্থানে স্থিতিবস্থা) বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। বর্তমানে আমি বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে হাইকোর্টে প্রতিযোগীতা করছি। সুতরাং আমি কোন আইন অমান্য করছিনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আদালত অমান্য করলে আদালতই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আমি সেটা মানতে বাধ্য। তিনি তাঁর মরহুম পিতাকে নিয়ে হরিদাস মন্ডলের ঘৃন্য মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, আমার পিতার বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগ প্রমানিত হলে আমি দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেব। মারপিট ও হুমকি ধামকির ব্যাপারে তিনি বলেন এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ, প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে এমন অভিযোগ থাকলে কেউ না জানলে আপনারা সংবাদ কর্মি এবং প্রশাসন সেটা জানতে পারতো। বরং হরিদাস মন্ডলকে যারা রাজনৈতিক কারনে আমার বিরুদ্ধে অপব্যবহার করছে তাঁরা অনেকেই সংখ্যালঘুদের সম্পদ দখল করেছিল আমি সেটি উর্দ্ধারে সহায়তা করেছি। এ সময় সেখানে উপস্থিত চালনা বাজারের গোবিন্দ বিশ্বাস এবং হরিদাস মন্ডলের আপন ভাগনে দাবীদার কুমারেশ বিশ্বাস বলেন, আমাদের সম্পত্তি তালিকাভুক্ত রাজাকার এবং রাজাকার পুত্র অবৈধভাবে দখলে নিয়েছিল, যারা কিনা হরিদাস মন্ডলকে পৃষ্টপোষকতা করছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন আমাদের সম্পত্তি দখলদারদের কবল থেকে উর্দ্ধারে সকল সহযোগীতা করে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সাধারন কর্মি থেকে পর্যায়ক্রমে বর্তমানে দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান থেকে দাকোপবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থনে দ্বিতীয় বারেরমত উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আমি দলের মনোনয়ন চাওয়ায় যারা দল থেকে ছিটকে পড়ে নৌকার মনোনয়ন চায় তাঁরা দলে আমার সুসংহত রাজনৈতিক অবস্থান এবং ভোটের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে এই জঘন্য মিথ্যাচারের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তিনি হরিদাস মন্ডলকে দাকোপের চিহ্নিত জুয়াড়– এবং মাদকাসক্ত আখ্যাদিয়ে বলেন, আগামীতে মিথ্যাচার ষড়যন্ত্র অব্যহত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি দাকোপে সুস্থধারার রাজনীতি এবং উন্নয়নের স্বার্থে প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে খুলনা জেলা আ’লীগের সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান রঘুনাথ রায়, উপজেলা সম্পাদক চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাডঃ রজত কান্তি শীল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সুভদ্রা সরকার, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাওলাদ হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ ফকির, ইউপি চেয়ারম্যান রনজিত কুমার মন্ডল, উপজেলা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের, পঞ্চানন মন্ডল, উপজেলা আওয়ামীলীগনেতা এবিএম রুহুলামিন, অধ্যাপক দুলাল রায়, মানস মুকুল রায়, শিবপদ পোদ্দার, মোহিত লাল রায়, গোলাম হোসেন শেখ, আব্দুর রহিম গাজী, চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির, শফিকুল ইসলাম আক্কেল, হিমাংশু সরকার, অধ্যাপক সুপদ রায়, রফিকুল ইসলাম, জ্যোতি শংকর রায়, নিত্যানন্দ কবিরাজ, প্রদীপ সাহা কালু, চম্পারানী, কনিকা বৈরাগী, অনিতা রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।