মঙ্গলবার ● ৩০ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » কেশবপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২০ জন বিতর্কিত ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ
কেশবপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২০ জন বিতর্কিত ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥
মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে কেশবপুর উপজেলার রাজাকারদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা অর্থ বাণিজ্য করাসহ সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে কেশবপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে কেশবপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংসদের বর্তমান কমান্ডার আনিছুর রহমান খান মুক্তিবার্তাসহ সরকারী গেজেটভুক্তদের ভেতর থেকে সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলীসহ ২০ জন বিতর্কিত ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে নিজেকে যুদ্ধকালীন কমান্ডার দাবী করে আনিছুর রহমান খান বলেন, মোহাম্মদ আলী ঘোলাপানিতে মাছ ধরার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে।
লিখিত বক্তব্যে সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলীকে শ্রম আদালত কর্তৃক ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী উল্লেখ করে আরও বলা হয় তিনি (মোহাম্মদ আলী) কেশবপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই কমিটির অনুমোদন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিবে বলে ৭৯ জনের নিকট হতে বহু অর্থ বাণিজ্য করেছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই কমিটির সদস্য হিসেবে আনিছুর রহমান খান যাচাই বাচাইয়ের পরিশিষ্ট “ক” তালিকায় সহি স্বাক্ষর না করায় তার গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে তিনি (মোহাম্মদ আলী) গত ২২ মে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কেশবপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কতিপয় সহকমান্ডার ও সদস্যদের ভেতর থেকে ১০ জনকে রাজাকার ও ৪৭ জনকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে তালিকা প্রকাশ করে নিজের অপকর্মকে আড়াল করার চেষ্ট চালাচ্ছে। তিনি সংসবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শ্রম আদালত কর্তৃক ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোহাম্মদ আলী ও তার পূত্র মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতারের দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ কমান্ডার সাংগঠনিক অধ্যাপক অসিত কুমার মোদক, সহ কমান্ডার অর্থ শেখ ফরিদ আহম্মেদ, কার্যকরী সদস্য বাবুর আলী, অশোক কুমার ঘোষ, আব্দুল মান্নান খান প্রমুখ।