মঙ্গলবার ● ২০ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় ঈদের বাজারে উপছে পড়া ভিড় লেগেছে
পাইকগাছায় ঈদের বাজারে উপছে পড়া ভিড় লেগেছে
শ্যাম সুন্দর ভদ্র ॥
পাইকগাছায় ঈদের বাজার জমে উঠেছে। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে ততই দোকানে ভীড় বাড়ছে। ঈদ সামনে রেখে পাইকগাছা বাজারের বিপনী বিতান ও সীট কাপড়ের দোকানগুলি নতুন সাজে সেজেছে। বাহারি নাম ও ডিজাইনের রং-বেরঙ্গের পোশাক পরিচ্ছদ দোকান গুলিতে সোভা পাচ্ছে। বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুড়ে দেখা যায় এবারের ঈদের বাজারে বেশি চাহিদা বাহুবলি-২, বস, জলনূপূর মাছকান থ্রী-পিচের চাহিদা বেশী। এ সব ডিজাইনের থ্রী-পিচ ২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। ছোটদের কুইন ফ্রগ, পাটি ফ্রগ, প্লাজু, কুর্তি, ফতুয়া, ধুতি সেট সাড়ে ৩শ থেকে ১৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোঁয়া কালেকশন রূপা, লেহাঙ্গা, রহানে, আশিকী, নিঝুম, চুন্নি, কিরণ মালা, কানেশ, প্লাজু, ফলোটাস চায়না ওয়ান পিচ, ইন্ডিয়ান থ্রি-পিচ, শাড়ি স্বর্ণকাতান, কাজ্ঞিবরণ, লেহারী, টাঙ্গাইলের জামদানী শাড়ি, হাফসিল্ক শাড়ি, শার্টের মধ্যে চায়না টি শার্ট, থাইল্যান্ড টি-শার্ট, ইন্ডিয়ান টি-শার্ট, পিয়োর সুতির পোশাক সহ দেশী-বিদেশী বাহারী পোশাক গুলো বিক্রি হচ্ছে বেশী বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঞ্জাবির কাট, ডিজাইন, ফেব্রিকসের বৈচিত্র ও কালারে এসেছে পরিবর্তন। ছেলেদের হাফ হাতার গেঞ্জি ও ফিটিং গেঞ্জি সহ নান ডিজাইনের গেঞ্জি। শর্ট সেট সাঞ্জু, সাকা-লাকা, থ্রি-কোয়াটারা প্যান্ট ও ফুল প্যান্ট। বিভিন্ন ডিজাইনের ছালয়ার কামিজ সাড়ে ৪শত থেকে ২৫ শত টাকার বিক্রি হচ্ছে, বাচ্চাদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশক সাড়ে ৩শত থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে, গেঞ্জি ৪শত থেকে ২৫ শত টাকা,বিভিন্ন ডিজাইনের প্যান্ট ৫শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী ফজলু ক্লথ ষ্টোরের স্বত্তাধিকারী ফজলু জানান, এবার ঈদের বাজারে বাহুবলি-২ ও বস থ্রী-পিচের চাহিদা বেশী। এছাড়া সুতির কাজ করা সালয়ার কামিজের চাহিদা রয়েছে। ৫ শত টাকা থেকে ১৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এবং বিদেশী কানিশ কাপড়ের চাহিদা রয়েছে বিক্রয় হচ্ছে ৩৫ শত টাকার মধ্যে। দীপ্তি ক্লথ ষ্টোরের মালিক অমরেশ জানান, ক্রেতাদের ভিড় প্রচুর বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। পাইকগাছার নিউ লুক এর মালিক মোনালিসা জানান, তার এখানে নারী ও শিশুদের আধুনিক ডিজাইনের বিভিন্ন রকম থ্রী-পিচ, ফোর-পিচ সহ উন্নত মানের পোশাক রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা ও পছন্দের পোশাক বিক্রিও হচ্ছে ভাল। নিু ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের পছন্দ সুন্দরবন মার্কেট। এখানে কিছুটা কম মূল্যে সব রকমের পোশাক পাওয়া যায়। তবে ঠিক মতো বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতারা ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। ক্রেতা আরিফা বেগম জানান, বাচ্চাদের পছন্দের ড্রেস কিনতে পেরে বেশ ভাল লাগছে। তবে দামটা একটু বেশী বলে মনে হচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনা কাটা চলছে। উপছে পড়া ভিড়ের মধ্যে ক্রেতারা হাফিয়ে উঠছে। ব্যবসায়ীরা জানান ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দোকান গুলোতে ভিড় অব্যহত থাকবে। প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করতে এসে ক্রেতারা কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, বিগত বছরের মত পুলিশের টহল থাকলে তারা স্বাচ্ছন্দের সহিত কেনা-কাটা করতে পারতো বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ক্রেতারা।