রবিবার ● ৯ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » ডুমুরিয়ায় ভাইরাস আক্রান্তে বাগদা চিংড়ি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি ঃ মৎস্য অফিস বলছে হিট স্ট্রোক
ডুমুরিয়ায় ভাইরাস আক্রান্তে বাগদা চিংড়ি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি ঃ মৎস্য অফিস বলছে হিট স্ট্রোক
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় ভাইরাস আক্রান্তে বাগদা চিংড়ি চাষীরা ব্যপক ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে পড়েছে।দফায় দফায় মৎস্য ঘেরে রেনু বা পোনা দিয়েও এ ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারছে না তারা।এক দিকে গলদা চিংড়ির দাম কম অন্য দিকে বাগদা চিংড়ি চাষে ভাইরাস।সব মিলে চাষীরা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ‘র পাসাপাসি পথে বসবে অনেকেই বলে জানান তারা।তবে এটি ভাইরাস আক্রান্ত নয় হিট স্ট্রোক ও আবহাওয়া জনিত কারন বলে জানান জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।যা সচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিছন্ন পরিবেশ দিয়ে প্রতিকার পাওয়া সম্বব। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ডুমুরিয়ায় প্রায় ৮০ হাজার মৎস্য ঘের রয়েছে।এক সময় এর বেশীর ভাগ ঘেরে লবন পানি তুলে ব্যপক বাগদা চিংড়ির চাষাবাদ করা হত।এটি বোরো ও আমন চাষের জন্য খুব ক্ষতিকর বুঝে ও প্রশাসনিক চাপে চাষীরা লবন পানি পরিহার করে মিষ্টি পানিতে সাদা ও গলদা চিংড়ি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়ে।কিন্তু গত ১৬/১৭ অর্থ বছরে গলদা চিংড়ির দাম কমে যাওয়ায় চাষীদের অনেকেই আবার বাগদা চিংড়ি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়ে কিন্তু সে গুড়েও বালি।ডুমুরিয়া আনোয়ারা মৎস্য আড়তে বাগদা চিংড়ি বিক্রি করতে আসা চাষী কেয়াখালী এলাকার ইউনুস বিশ্বাস,খরসন্ডা এলাকার শেখ কামরূল ইসলাম,শেখ ইসলাম হোসেন,মুজিবুর রহমান মল্লিক সহ অনেক চাষীরা জানান বিশেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেঁড়ী বাঁধের বাইরের জমিতে এ বছর ব্যপক বাগদা চিংড়ির চাষ হয়েছিল।যার বেশীর ভাগ ঘেরে ভাইরাস লেগে কোন মাছ নেই।দফায় দফায় রেনু বা পোনা দিয়েও এ ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারছে না তারা। তারা আরো জানান চাষীদের অনেকেই হালের বলদ ও সুদে টাকা যোগাড় করে মোটা অংকে জমি হারিতে নিয়ে বাগদা চিংড়ি চাষ শুরু করেছিল।কয়েক দফায় রেনু ছেড়ে কোন মাছ না পেয়ে তারা ্এখন প্রায় সর্ব শান্ত হয়ে পড়েছে।এমন কি পথে বসার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে অনেকের। মৎস্য আড়তের সাধারন সম্পাদক গাজী মেহেদী হাসান ও ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান গাজী বলেন এ বছর বাগদা চিংড়ির চাষ অনুপাতে মাছের সংখ্য খুবই কম। খোজ নিয়ে জানা গেছে বেশীর ভাগ ঘেরের মাছ মারা গেছে। কিন্তু কেন চাষীরা পথে বসবে এবং ঘেরের মাছ মারা যাবে ? এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা মৎস্য অফিসার শামিম হায়দার জানান অনেক ঘেরে এ বছর বেশ মাছ মারা গেছে ঠিকই।তবে এটি ভাইরাস আক্রান্তে নয়। মে মাসের শুরুতে হিট স্ট্রোক ও আবহাওয়া জনিত কারনে বেশীর ভাগ পোনা মারা গেছে। তিনি আরো বলেন বেশীর ভাগ কৃষক পরামর্শ ছাড়াই পরিবেশ ও নিয়ম রীতি না বুঝে চাষাবাদ করেন। যে কারনে মাছ মারা গেলে ভাইরাসের উপর দায় চাপান। মূলত বিশ্বে ভাইরাসের কোন চিকিৎসা নেই ,আর ভাইরাস সচারাচার লাগতেও দেখা যায় না।পরামর্শ গ্রহন, ৩/৪ ফুট গবীর পানিতে পোনা ছাড়া,চাষাবাদ যোগ্য জমি বাছই, মাঝে মধ্যে চুন প্রযোগ,স্বাস্থ্য সম্মত পোনা ছাড়া,আনুপাতিক হারে পোনা না ছাড়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে লক্ষ রেখে চাষাবাদ করলে মাছ মরার কথা নয়।মে মাসে আধিক গরমে অগভীর পানিতে মাছ ছেড়লে বেশীর ভাগ পোনা হিট স্ট্রোকে মারা যায়।তখন চাষীরা মনে করে ভাইরাস লেগেছে।তিনি আরো বলেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে ও পরিবেশ বুঝে চাষাবাদ করলে চাষীদের আর পথে বসা লাগবে না।