রবিবার ● ৩০ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছার আলোচিত পোদা নদীর নেট-পাটা অপসারণের ঘটনায় থানায় মামলা; জনপ্রতিনিধি সহ অর্ধশতাধিক আসামী
পাইকগাছার আলোচিত পোদা নদীর নেট-পাটা অপসারণের ঘটনায় থানায় মামলা; জনপ্রতিনিধি সহ অর্ধশতাধিক আসামী
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার আলোচিত পোদা নদীর (বদ্ধ জলমহল) নেট-পাটা অপসারণকে কেন্দ্র করে জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। গত শনিবার ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইপো বাদী হয়ে ইউপি সদস্য, শিক্ষক, ছাত্র ও এলাকাবাসী সহ প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে আসামী করে চাঁদাবাজী, চুরি ও লুটপাটের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে আসামী করে মামলা করায় জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার লতা ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের পানি সরবরাহের অন্যতম মাধ্যম পোদা নদীর নেট-পাটা অপসারণ নিয়ে ইজারাদারের লোকজন ও এলাকাবাসীর সাথে গত কয়েকদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। গত টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জলাবদ্ধতার আশংকায় পানি নিস্কাশনের লক্ষ্যে এলাকাবাসী গত শুক্রবার নদীর কয়েকটি স্থানের নেট-পাটা অপসারণ করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সংঘাত-সংঘর্ষ এড়াতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সর্বশেষ এ ঘটনায় গত শনিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাসের ভাইপো যুবলীগনেতা বাবুলাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ইউপি সদস্য দেবাশীষ রায়, প্রদীপ মহলদার, সাবেক ইউপি সদস্য অসীম ঢালী, মঙ্গল সরকার, চিত্তরঞ্জন মন্ডল, শিক্ষক পবিত্র মন্ডল ও ছাত্র পল্লব, দিলিপ সহ প্রায় অর্ধশত এলাকাবাসীকে আসামী করে থানায় মামলা করেছে। যার নং- ৪১, তারিখ- ২৯/০৭/২০১৭। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, ফতেপুর আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে পোদা নদীটি ইজারা প্রদান করা হয়। যার দেখভাল করার দায়িত্ব প্রদান করা হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে। থানার ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান জানান, যেহেতু একটি বদ্ধ জলমহলের নেট-পাটা অপসারণ ঘটনায় মামলা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মামলার কারণে যাতে কোন নিরীহ মানুষ হয়রানী না হয় সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দেখা হবে। এদিকে মামলার এ ঘটনায় জনমনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।