বৃহস্পতিবার ● ৩ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছা-বেতবুনিয়া সড়কের শিবসা ব্রীজের জরাজীর্ণ এ্যাপ্রোস সড়ক; যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগ
পাইকগাছা-বেতবুনিয়া সড়কের শিবসা ব্রীজের জরাজীর্ণ এ্যাপ্রোস সড়ক; যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগ
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছা-বেতবুনিয়া সড়কের শিবসা ব্রীজের এ্যাপ্রোস সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ব্রীজের দুই পাশের সড়কে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যাতায়াতে চরম দূর্ভোগের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী জরাজীর্ণ এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে পাইকগাছা-বেতবুনিয়া সড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি দিয়ে অত্র এলাকার হাজারও মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। বিশেষ করে অত্র সড়ক দিয়ে অতি সহজেই মানুষ জেলা শহরে যেয়ে থাকে। পাশাপাশি সোলাদানা, লতা, দেলুটি ও গড়ইখালী ইউনিয়নবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি। তাছাড়া বিভিন্ন পর্যটকরাও এ সড়ক দিয়ে সুন্দরবনে যাতায়াত করে থাকে। সড়কের উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্রেই ঐতিহ্যবাহী শিবসা নদীর উপর রয়েছে শিবসা ব্রীজ। ব্রীজ নির্মাণের পর দুই পাশের এ্যাপ্রোস সড়ক সংস্কার করা হয়নি। ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যার কারণে চলাচলে চরম দূর্ভোগে রয়েছেন যাতায়াতকারীরা। ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের মাসুদ পারভেজ জানান, ব্যবসায়ীক কাজে প্রতিদিন সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে এ্যাপ্রোস সড়কের যে জরাজীর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হয় সড়কটি দেখার যেন কেউ নেই। নছিমন চালক আলমগীর হোসেন জানান, এতো বেশি এবং গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ধাক্কায় অনেক সময় যানবাহন থেকে যাত্রীরা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পাশাপাশি বড় বড় গর্তের কারণে প্রতিদিন যানবাহনের বহু যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে যায়। ইঞ্জিন ভ্যান চালক রবিউল ইসলাম জানান, ব্রীজে উঠার লেভেল অনেক উঁচু হওয়ায় গতি নিয়ে উঠতে হয়। কিন্তু ভাঙ্গাচুরা রাস্তার কারণে গতি নিয়ে উঠা সম্ভব হয় না। এ জন্য অনেক সময় মালবাহি ছোট ছোট ট্রলি ও নছিমন-করিমন পাল্টি দিয়ে খাদে পড়ে যায়। অনেক সময় বড় বড় দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় জরাজীর্ণ সড়কের কারণে। সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক জানান, পার্শ্ববর্তী উপজেলা সহ অত্র এলাকার হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এ্যাপ্রোস সড়কের জরাজীর্ণতার কারণে যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংস্কারের ব্যাপারে ইতোমধ্যে লিখিতভাবে একাধিকবার উপজেলা পরিষদ সহ স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করেছি। খুব তাড়াতাড়ি সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশস্তও করেছে। উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, এ্যাপ্রোস সড়কের সংস্কারের বিষয়টি অধিক প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এবং চলতি অর্থবছরের মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু করা হতে পারে বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। শুধু আশ্বাস নয়, সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন চাই এলাকাবাসী।