বুধবার ● ৯ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » শিক্ষা » ডুমুরিয়ায় কাটেঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিত্যাক্ত ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান ঃ ৬ বছরেও নির্মান হয়নি নুতন ভবন
ডুমুরিয়ায় কাটেঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিত্যাক্ত ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান ঃ ৬ বছরেও নির্মান হয়নি নুতন ভবন
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় কাটেঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিত্যাক্ত ঝুঁকিপূর্ন ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান।
বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষনার পর ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কার বা নুতন কোন ভবন নির্মন
না হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত বিকল্প ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে ক্লাস নিতে হচ্ছে বলে জানান
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।এদিকে ঝুকিও দূর্ঘটার কথা ভেবে শ্রেনীকক্ষে মন বসেনা বলেজানান শিক্ষার্থীরা
।তবে শিগ্রই নুতন ভবনের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।সরে
জমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়।১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়
উপজেলার ৬১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের ভবনটি
পূনঃ নির্মান করা হয়।কিন্ত তার পর ১৭/১৮ বছর যেতে না যেতেই বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন অংশ ফাঁটল
ও ধসে পড়তে শুরু করে।এক পর্যায়ে যত্র-তত্র ছাঁদ ধসে পড়তে শুরু করে। এমন অবস্থা দেখে ২০১২ সালে কতৃপক্ষ ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন।এর পর বরার্ধকৃত সিলিপ,ক্ষুদ্র মেরামত ও স্থানীয়দের সহেতায় দু‘রুম বিশিষ্ট টিন সেটের একটি ঘর নির্মান করা হয়।কিন্তু বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্য বেশী
হওয়ায় বাধ্য হয়ে পরিত্যাক্ত ভবটি তাদের ব্যাহার করতে হচ্ছে বলে জানান তারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ্ইচ এম মতিয়ার রহমান জানান ঝুঁকির বিষয়টি জেনেও ঝুঁকি ও দূর্ঘটনা মাথায় নিয়ে ক্লাস নিতে
হচ্ছে।এত ছাত্র-ছাত্রী কোথায় বসতে দিব।তাই পরিত্যাক্ত ভবনের এক রুমে অফিস ও এক রুমে পঞ্চম
শ্রেনীর ক্লাস নিতে হচ্ছে।তবে আবহাওয়া ভাল থাকলে খোলা আকাশে নীচে অনেক সময় ক্লাস নেয়া হয়ে থাকে।বিষয়টি লিখিত ও মৌখিক ভাবে উদ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।৫ম শ্রেনীর ছাত্রী নিহাল আরেফিন,মুসলিমা খাতুন,উর্মি খাতুন সহ অনেকে জানান ক্লাস চলাকালে অনেক সময় ছাদ ধসে পড়ে যে কারনে আমাদের সর্বদা সে আতঙ্কে থাকতে হয়।না জানি কখন মাথায় ছাঁদ ধসে পড়ে। তাই ঝুকি ও দূর্ঘটার কথা ভেবে শ্রেনী কক্ষে আমাদের মন বসতে চায় না।শুনেছি নুতন ভবন হবে তা আর কবে ?
এমনি প্রশ্ন ও ক্ষোভের কথা ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জি এম আলমগীর কবির বলেন ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে ঠিকই কিন্ত নুতন ভবন নির্মান না এই মুহুর্তে কি আর করার আছে।তবে শিগ্রই নুতন ভবনের কাজ শুরু হবে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর বলেন উপজেলায় পরিত্যাক্ত ৩৭ টি ভবনের মধ্যে কাটেঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি।যা নুতন ভবন নির্মান তালিকায় রয়েছে,শিগ্রই এর কাজ শুরু হবে।