সোমবার ● ২১ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়া কলেজের সামনে অবৈধ বাঁশের হাট, জনদূর্ভোগ চরমে
ডুমুরিয়া কলেজের সামনে অবৈধ বাঁশের হাট, জনদূর্ভোগ চরমে
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া
খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কে ডুমুরিয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে প্রতিনিয়ত বসছে অবৈধ বাঁশের হাট। এতে কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের দারুন ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে সড়কে যানজটের কারনে জনদূর্ভোগ চরমে। সরেজমিনে অবস্থা দেখে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪ বছর ধরে ডুমুরিয়া, কেশবপুর, মনিরামপুর, তালা ও ফুলতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য বাঁশ ব্যবসায়ীরা ছোট-বড় ট্রাক বা ইঞ্জিন ভ্যানে এনে ডুমুরিয়া মহাবিদ্যালয়ের গেটের সামনেই অবৈধভাবে বাঁশ কেনা-বেচা করেন। এখানে সপ্তাহে শনি ও বুধবার ভোর থেকেই বাঁশের হাট বসে, বিকেল পর্যন্ত চলে। এছাড়া একই স্থানে প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেশ-কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের বাঁশ কেনা-বেচা করে থাকেন। উল্লেখ্য, অননুমোদিত ওই হাটে বাঁশ ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে বাঁশ প্রতি দুই টাকা করে খাজনাও(টোল) আদায় করা হচ্ছে। এখানে কাগজে-কলমে ডুমুরিয়া হাটের সঙ্গে বাঁশের হাট বলে কোনো হাট নেই। তবে পার্শ্ববর্তী কৈয়া হাটে অনেক আগে থেকেই শনি ও বুধবার বাঁশের হাট বসে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ কৈয়া হাটে বাঁশ নেওয়ার পথে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে দাড়িয়ে কেনা-বেচা করতে করতে বর্তমানে ডুমুরিয়া কলেজের সামনেই এই বাঁশের হাট বসেছে। এ হাট বসায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ কেনা-বেচা করছে। কিন্তু একদম কলেজ ক্যাম্পেসের সাথেই এ বাঁশের হাট বসায় কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ন এই খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে যানবাহন চলাচলেও বিঘœ ঘটছে। আর সড়ক দূর্ঘটনা তো আছেই। এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাসেল সরদার বলেন, আমাদের কলেজের সামনে ওই বাঁশের হাটের সমস্যা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছি। কিন্তু হাট সরছে না। স্থানীয় মিজানুর রহমান খান বলেন, কলেজের সামনে বাঁশ বিক্রির কারণে রাস্তায় যেমন জ্যাম হচ্ছে, তেমনি ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলেও খুব সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। পাইকগাছা রোডের এক বাস চালক বলেন, যেখানে রাস্তার চরম দূরাবস্থার কারণে চলাচল করাই দূষ্কর, সেখানে ডুমুরিয়া কলেজের সামনে বাঁশের হাট বসায় চলাচলে চরম সমস্যা পোহাতে হয়। কেশবপুর ত্রিমোহনী থেকে বাঁশ বিক্রি করতে আসা সাজ্জাত হোসেন বলেন, আমাদের বাঁশ বিক্রির একটা জায়গা দিলে আর রাস্তার ওপর দাড়াতাম না। ডুমুরিয়ার বাঁশ ব্যবসায়ী মোফাজ্জেল ফকির বলেন, আমরাও চাই রাস্তার ওপর থেকে বাঁশের হাট সরিয়ে নেওয়া হোক। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম খান বলেন, আমি আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কয়েকবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা আমাদের কথা ভ্রুক্ষেপ করছে না। তাই প্রশাসনিক পদক্ষেপ জরুরি। অবৈধ বাঁশ হাটের ইজারাদার মুস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, ডুমুরিয়া হাটের মূল ইজারাদার মেম্বর রফিকুল’র হয়ে এই বাঁশের হাট থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই বাঁশ প্রতি ২ টাকা করে খাজনা নিয়ে থাকি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন, কলেজের সামনে আর যাতে বাঁশের হাট না বসতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।