সোমবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ডুমুরিয়ায় গোলনা-হাজিডাঙ্গা সড়কটির বেহাল দশা ঃ চরম ভোগান্তীতে এলাকাবাসি
ডুমুরিয়ায় গোলনা-হাজিডাঙ্গা সড়কটির বেহাল দশা ঃ চরম ভোগান্তীতে এলাকাবাসি
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় গোলনা-হাজিডাঙ্গা ইটের সোলিং বিশিষ্ট খানা-খন্দে ভরা গুরুত্বপূর্ন সড়কটি চলাচলের যাগ্য হয়ে পড়েছে।বেহাল এ সড়কটিতে ভ্যান গাড়ী চলা-চলতো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলারও অযোগ্য হয়ে পড়েছে।ফলে সিমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থী ও সবজী বাজাত করনের ক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষকেরা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।এজন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাবহারিত বালি ভর্তি ট্রাক ও মুরগী ফার্মের খাবার বহনকারী গাড়ী দায়ী বলে অভিযোগ এলাকাবাসির।তবে চলতি অর্থ বছরে সড়কটির কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকেীশলী অধিদপ্তর।সরেজমিনে গিয়ে ভ’ক্তভোগী কৃষক শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহা-সড়কের গোলনা গ্রাম থেকে নেমে হাজিডাঙ্গা-খলশি অভিমুখি নেমে যাওয়া গুরুত্বপূর্ন ফিডার সড়কটি গত ১২/১৩ বছর আগে ইটের সোলিং বসানো হয়।যা জনসাধারনের চলা-চল,মাল বহন সহ ছোট-খাট যানবহন চলার উপযোগী হয়ে ওঠে। কিন্তু সম্প্রতি কি কারনে রাস্তাটির এত বেহাল দশা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সুভাষ রায়,কার্তিক হালদার , দেবাশিষ রায়,গনপতি রায়,সুকুমার রায়,দিপ্ত মন্ডল সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় প্রভাবশালী বঙ্কিম চন্দ্র রায় তার বিরাট এক গতর্ ভরাটের জন্য দিনরাত বালু বোঝাই ট্রাক যাতায়াত করছে, এ ছাড়া গোবিন্দ মন্ড্লের মুরগীর ফার্মের খাবার ও ডিম ক্রয় করতে আসা গাড়ী প্রতিনিয়ত বড় বড় গাড়ী চলাচল করছে যে কারনে সড়কটির বেহাল দশা হয়ে পড়েছে।ফলে ভ্যান গাড়ী চলা-চলতো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলারও অযোগ্য হয়ে পড়েছে।হাজিডাঙ্গ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে শত-শত শিক্ষর্থীর প্রকিনিয়ত পাড়ী দিতে হয় সড়কটি।বনলতা নামের নবম শ্রেনীর এক ছাত্রী বলেন স্কুল ড্রেস পরে,বই খাতা ও ছাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কোন উপায় নেই।ভ্যান গাড়ী চলারও উপায় নেই তাই কাঁদা-পানি মেখে স্কুলে যেতে হয়।প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।আশু সড়কটি সংস্কার না হলে দূর্ভোগের শেষ নেই শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসির।কবে নাগাত এসড়কট সংস্কার হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন সড়কটি তালিকা ভ’ক্ত করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে সড়কটির কাজ করা হবে।উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর জানান সরেজমিনে গিয়ে সড়কটির বেহাল দশা দেখা হয়েছে।শিগ্রই এর কাজ শুরু করে এলাকাবাসির কষ্ট লাঘব করা হবে।