বৃহস্পতিবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » কেশবপুরে আমেরিকা প্রবাসীর ভাইকে হুমকী; আদালতের মাধ্যমে নিরাপত্তার দাবী
কেশবপুরে আমেরিকা প্রবাসীর ভাইকে হুমকী; আদালতের মাধ্যমে নিরাপত্তার দাবী
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥
কেশবপুরে আমেরিকা প্রবাসীর ভাইকে হুমকীর ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে নিরাপত্তার দাবী করা হয়েছে।
যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার গড়ভাঙ্গা গ্রামের শের আলী গাজীর পূত্র আমেরিকা প্রবাসী জাহিদ হোসেন গাজীর সাথে চৌগাছা উপজেলার চাদপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের কন্যা টিনা মমতাজ মিমি এর সাথে ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর বিবাহ হয়। বিবাহের পূর্বে মিমির সাথে একাধিক ছেলের প্রেম থাকায় তার অমতে জাহিদের সাথে কন্যার পিতা জোর পূর্বক বিবাহ দেয় যা বরপক্ষ জানত না। ৪ মাস ১০ দিন স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাসের পর ২০১৬ সালের ২৫ মে জাহিদ হোসেন গাজী পুনরায় আমেরিকায় চলে যান। তখন থেকে জাহিদ হোসেন গাজী তার স্ত্রী টিনা মমতাজ মিমিকে আমেরিকায় নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন এবং আমেরিকা এ্যাম্বেসি হতে তার স্ত্রীকে একটি শুভেচ্ছা কার্ডও প্রদান করে। কিন্তু টিনা মমতাজ মিমি তার পিতার বাড়িতে থেকে তার পূর্বের প্রেমিকের সাথে নিয়োমিত দেখা করতে থাকে। তিনি আমেরিকায় যাবেন না বলে তার স্বামীকে জানিয়ে দেয় এবং স্বামীর অমতে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে।স্বামীর বাড়ি থেকে তার নিকট গচ্ছিত ৭ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ১ হাজার ইউ.এস ডলার ও মূল্যবান কাপড় নিয়ে চম্পট দেয়। যার ফলে বাধ্য হয়ে জাহিদ হোসেন গাজী তার স্ত্রী টিনা মমতাজ মিমিকে তালাক প্রদান করে। তালাক দেওয়ার পর থেকে টিনা মমতাজ মিমির পরিবারের পক্ষ থেকে জাহিদ হোসেন গাজীর পরিবারকে খুন জখমের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে পরিবারিক প্রয়োজন মিটিয়ে যশোর থেকে বাড়ি ফেরার সময় মনিহার সিনেমা হলের সামনে জাহিদ হোসেন গাজীর ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান গাজীকে চৌগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন, ময়না বেগম, টিনা মমতাজ মিমি, জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসীরা ধাওয়া করে। এসময় মোস্তাফিজুর রহমান গাজী ছুটে গিয়ে স্টাটার অফিসে আশ্রয় নেয় এবং তার আতœচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে খুন-জখমের হুমকী দিয়ে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এব্যপারে মোস্তাফিজুর রহমান গাজী ২০ সেপ্টেম্বর যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে একটি লিখেত আবেদন করেছেন।