সোমবার ● ২৩ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » শিক্ষা » ডুমুরিয়ায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চলছে নেয়াকাটি সাহস প্রাথমিক বিদ্যলয়ের পাঠদান ঃ চরম দূর্ভোগে শিক্ষার্থীরা
ডুমুরিয়ায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চলছে নেয়াকাটি সাহস প্রাথমিক বিদ্যলয়ের পাঠদান ঃ চরম দূর্ভোগে শিক্ষার্থীরা
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়ায় নোয়াকাটি সাহস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষনার পর ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও নুতন ভবনের কাজ শুরু হয়নি। রোধ বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে স্থানীয় ভ’মি অফিস ও ছোট্ট একটি কুড়ে ঘরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।চারিদিকে নোংড়া পানি,আবর্জনা ও মশার উপদ্রব অতিক্রম
করে শ্রেনী কক্ষে ঠাসাঠাসি করে বসে বছরের পর বছর পার করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের।এ যেন
দেখার কেউ নেই।তার উপর অতি বৃষ্টিতে বই-খাতা নিয়ে দৌড়াতে হয় বাজারের শেড ঘরে।কবে
নাগাত এ দূর্ভোগ শেষ হবে তা জানে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।তবে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে চলতি
১৭-১৮ অর্থ বছরে নুতন ভবনের কাজ শুরু হবে।সরেজমিনে দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও এলাকা
বাসির সাথে কথা বলে জানা যায় ১৯৭২ সালে সাহস ইউনিয়নে নোয়াকাটি সাহস প্রাথমিক বিদ্যালয়টি
প্রতিষ্ঠিত হয়। যেখানে ১৯৯৩-৯৪ সালে একবার ভবন পূনঃ নির্মানের কাজ হয়।কিন্ত ২০১৪ সালের আকর্ষিক ভ’মিকম্পে ভবনটির বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ে।অযোগ্য হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এরপর
কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের ভবনটি পরিত্যাক্ত ভবন ঘোষনা করেন।এরপর থেকে স্থাণীয় সাহস ইউনিয়ন ভ’মি অফিসে চলতে থাকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।কিন্তু ছাত্রছাত্রীর বেশী হওয়ায় ওই ভবনে সংকুলান না হওয়ায়
বেঁধে নেয়া হয় ছোট্ট একটি কুড়ে ঘর।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা জাহান জানান বিদ্যালয়টি এই
ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফলাফল করে আসছে।যেখানে বর্তমান ছাত্র ছাত্রীর সংখ্য ১৫৫ জন। তিনি আরো বলেন,সেই ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে রোধ বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে ভ’মি অফিস ও ছোট্ট একটি কুড়ে ঘর বেধে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছি।জানিনা কবে নাগাদ এ দূর্ভোগের অবসান হবে।
বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী ফারজানা বেবি,২য় শ্রেনীর ছাত্র এমরান হোসেন,তাসনিয়া খাতুন,মনিরা খাতুন,৫ম শ্রেনীর ছাত্র ফয়সাল সহ অনেকে জানান চারিদিকে নোংড়াপানি,ময়লা,আবর্জনা ও মশার কামড় সহ নানা উপদ্রব অতিক্রম করে শ্রেনী কক্ষে ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়।বৃষ্টি এলে আবার দৌড়ে অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে হয়।এ ভাবে সিমাহীন কষ্ট আর দূর্ভোগ আমাদের নিত্যদিনের সাথী হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নলেজে আছে উল্লেখ করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিএম আলমগীর কবির বলেন
শত সমস্যা থাকলেও এই মুহুর্তে কিছু করার নেই।এ প্রসংগে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাসবলেন
ডুমুরিয়ায় এক যোগে ৩৭ টি ভবনের কাজ শুরু হবে।এর মধ্যে এটিও রয়েছে।আশাকরি চলতি ১৭-১৮ অর্থ বছরে নুতন ভবনের কাজ শুরু হবে।