বুধবার ● ৮ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ার চুকনগরে ভদ্রানদীর ভাঙ্গনে কাঁঠালতলা বাজারসহ মসজিদের ওজুখানা নদী গর্ভে বিলীন
ডুমুরিয়ার চুকনগরে ভদ্রানদীর ভাঙ্গনে কাঁঠালতলা বাজারসহ মসজিদের ওজুখানা নদী গর্ভে বিলীন
শেখ আব্দুল মজিদ, চুকনগর \ ডুমুরিয়ার চুকনগরে ভদ্রানদীর ভাঙ্গনে কাঁঠালতলা বাজার নদীর গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এছাড়া বাজার জামে মসজিদের ওজু খানা ও গণশৌচাগার নদী গর্ভে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। ফলে মুসল্লীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম শঙ্কার মধ্যে। এলাকাবাসী ও সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, প্রবাহমান শিবশা’র শাখা নদী বুড়িভদ্রা ২৪ নং পোল্ডারের অধীন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কাঁঠালতলা বাজার হতে গোবিন্দকাটি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার গ্রামরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে গত বৃষ্টি মৌসুম এবং সম্প্রতি ভদ্রার জোয়ারের পানির প্রবল তোড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের কয়েকটি স্থান ভেঙে গিয়ে সমগ্র এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কাঁচাবাজারের অন্তত ১০/১৫টি দোকান, বাজার জামে মসজিদের ওজুখানা, টয়লেট ও গণশৌচাগার নদীগর্ভে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলা বাজারের উত্তর পাশদিয়ে নদীটি প্রবাহিত। এর দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক। ফলে মহাসড়কটি রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। মহাসড়কের অভ্যন্তরে কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দিরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ঐহিত্যবাহী কাঁঠালতলা বাজার এলাকার সুখ্যাতি কাঁচামালের জন্য বিখ্যাত হাট ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ভদ্রার ভাঙ্গনের কবলে বাজারের ৬০ শতাংশ জায়গা নদীগর্ভে চলে গিয়ে বাজারটির অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে। একাধিকবার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে বা স্থায়ী সংস্কার ও প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। কাঁঠালতলা বাজার কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসানুর রহমান, ডাঃ অসিম মল্লিক, মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনিরুল ইসলাম মালী, ব্যবসায়ী রায়হান মোড়ল, আব্দুল মালেক, বীরেন দাসসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবেদককে জানান, ভদ্রা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে কাঁঠালতলা বাজারের অস্তিত্ব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর জানান, কাঁঠালতলা এলাকায় এবার একাধিকবার নদীভাঙ্গন হয়েছে। ইতিপূর্বে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। স্থায়ীভাবে বাঁধমেরামত সহ ভাঙ্গন রোধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আশাকরছি অচিরেই বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।