বৃহস্পতিবার ● ১৬ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » সারাদেশ » মাশরুম নিয়ে বাবুলের স্বপ্ন
মাশরুম নিয়ে বাবুলের স্বপ্ন
এস আলম তুহিন , মাগুরা থেকে :
আমি স্বপ্ন বিলাসী মানুষ, স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি, স্বপ্ন দেখি মাশরুম নিয়ে। তাই মনের মাঝে স্বপ্ন বুনেছি নাম দিয়েছি ‘ড্রিম মাশরুম সেন্টার’কথা গুলো বছিলেন সফল উদ্দ্যোগতা মাগুরা সদর উপজেলার বড়খড়ি গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবুল আক্তার।
মাত্র ১০ -১৫ টি মাশরুম নিয়ে নিয়ে ছোট একটি খুপরি ঘরে তার যাত্রা শুরু হয়। এখন তিনি গড়ে তুলেছেন মারুমের ‘ড্রিম মাশরুম সেন্টার’ নামের কারখানা।
বাবুল আক্তার বলেন, নিজের প্রতিষ্ঠানে মাশরুমের বীজ উৎপাদন ও। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন নিজের প্রতিষ্ঠিত মাশরুম উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ল্যাবে ক্যাপসুল ও পাউডার তৈরি করে সুনাম অর্জন করেছি। পেয়েছি জাতীয় কৃষি পুরস্কারসহ অগণিত পুরস্কার-পদক,সম্মাননা সনদপত্রও।
বাবুল আক্তারের এ অনন্য সফসতা দেখে তারই পরামর্শমতো বড়খড়ি গ্রামসহ এ অঞ্চলের প্রায় বাড়িতে এখন মাশরুম উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়েছে আরও অনেকেই।
১৪টা রুম আর ৪টা বড় শেড়ে থরে থরে বেড়ে উঠছে মাশরুম। বাবুল আক্তার জানালো তার শুরু থেকে আজকের ‘মাশরুম বাবুল’ হয়ে ওঠার কথা।
১০০ টাকা খরচ করে ১৫ টা মাশরুম বীজ দিয়ে শরু করে বাবুল আজ দুই কোটি টাকার মালিক। নয় ভাই বোনের মধ্যে অষ্টম বাবুল নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে পেছেন।
তার ‘ড্রিম মাশরুম সেন্টারে’ মার্স্টাস পাশ করা ৫০ জন কাজ করে। স্থায়ীভাবে ১০০ জন অস্থায়ী ৫০ জন। ফার্মে ৫০ জন, মার্কেটিং এ কাজ করে । এ কাজে ১৫টি জেলায় আছে ৭০ জন।
বড়খড়ি গ্রামের বাসিন্দা আক্তার আলী বলেন, বাবুল আক্তার এখন ৫টি গাড়ির মালিক।
জেলা কৃষি অফিসার পার্থ প্রতীম সাহা বলেন , একজন পিএসডি করা শিক্ষক তার প্রকল্প পরিচালক। তিনি আরো বলেন এতো কল্পনা বা স্বপ্নে সম্ভব। কিন্তু সে স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারনের পক্ষ থেকে বাবুলকে সর্বক সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন এখানে মোট দুই জাতের মাশরুম উৎপান্ন করা হয়। ওয়েস্টার ও গ্যানোডর্মা । বাবুল জানালো তার ড্রিম মাশরুম সেন্টারে গড়ে প্রতিদিন ৩০০ কেজি কাঁচা মাশরু তোলা হয়।
শুকানোর পরে সেগুলো ৩০ কেজি ওজন হয়। যার মুল্য ৪৫,০০০ /- টাকা।
প্রতি কেজি ১৫০০ টাকা। বাবুলের ফার্মের মাসিক বিক্রি ৮-১০ লক্ষ টাকা। প্রতি মাসে তার আয় ২ লক্ষ টাকা।তিনি দাবি করেন ড্রিম মাশরুম সেন্টার বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মাশরুম কেন্দ্র। তিনি বলেন মাশরুম দিয়ে কি না হয়। চা, দুশ, গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যায়। গ্যানোডর্মা মাশরুম দিয়ে টুথপেষ্ট সাবান, শ্যাম্পু, লিপিস্টিক বানানো যায়। এছাড়া ঔষধ বানানো যায়।
এখনো বাবুলের সুদৃশ্য পাকা বাড়ী হলেও সে তার পুরোনো র্জীণ বাড়ি ততোধিক নড়বড়ে রান্নাঘরটি এখনো রেখে দিয়েছে। সে তার অতীতকে ভুলতে চায়না।
জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান বলেন, মাশরুম বাবুলের মতো বাংলাদেশের সব জেলায় শত শত স্বপ্নবান তরুনী-তরুন শুরু করুক তাদের স্বপ্নযাত্রা। তিনি বলেন আমি এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো: আবুল কালাম আজাদ স্যারকে অনুরোধ করছি বাবুলের মাশরুম র্ফামটি দেখে যাওয়ার জন্য।