শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ২৫ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » পরিবেশ » সবুজ উপকূল কর্মসূচি “উপকূল সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে”
প্রথম পাতা » পরিবেশ » সবুজ উপকূল কর্মসূচি “উপকূল সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে”
৫০৭ বার পঠিত
শনিবার ● ২৫ নভেম্বর ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সবুজ উপকূল কর্মসূচি “উপকূল সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে”

---
প্রকাশ ঘোষ বিধান ॥
উপকূলের পড়ুয়াদের নিয়ে ব্যতিক্রম ধারার পরিবেশ সচেতনতামূলক কর্মসূচি ‘‘সবুজ উপকূল’’। সবুজ উপকূল কর্মসূচি বদলে দিয়েছে স্কুল পরিবেশ ও পরিবেশ সুরক্ষায় উপকূল বাসির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে সচেতনতা। সবুজ সুরক্ষায় সৃজনশীল প্রতিযোগিতা, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, র‌্যালী, আলোচনা সভা, গাছের চারা রোপণ ও বিতরণসহ নানান বর্ণাঢ্য আয়োজন। স্কুল পড়ুয়াদের সবুজ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রচনা লিখন, কবিতা লিখন, ছবি আঁকা, সংবাদ লিখন, পত্র লিখার মতো সৃজনশীল প্রতিযোগিতা হয়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উপকূল অঞ্চল অনেকটা পিছিয়ে। স্কুল পড়ুয়াদের সৃজনশীন মেধা বিকাশের ও তথ্যে সমৃদ্ধ করে আলোয় আনার মাধ্যম দেয়ালপত্রিকা “বেলাভূমি”।
বাংলাদেশের প্রায় ৭১০ কিলোমিটার জুড়ে উপকূলীয় অঞ্চল বিস্তৃত। পশ্চিমে সাতক্ষীরা থেকে পূর্ব-দক্ষিণের কক্সবাজার জেলা পর্যন্ত উপকূলের ব্যাপ্তি। এই উপকূলে রয়েছে হাজারো সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনা জাগাতে ভিন্নমাত্রা যোগ করছে ‘সবুজ উপকূল কর্মসূচি।’ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী তরুণেরাই আগামীদিনে উপকূল জুড়ে জ্বালিয়ে দিবে প্রশান্তির সবুজ বাতি।
উপকূলীয় তরুণদের স্বপ্ন জাগাতে স্কুল ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘সবুজ উপকূল’-এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। উপকূল জুড়ে ভিন্নধারার এই কর্মসূচিতে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। উপকূল বাংলাদেশ উপকূল নামের প্রতিষ্ঠান এর উদ্যোক্তা ও উপকূল সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু। ’উপকূল জুড়ে স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো এবং সৃজনশীল মেধা বিকাশ এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য’। “সবুজ বাঁচাই, সবুজে বাঁচি’’ নিয়ে এই দু’টি প্রতিষ্ঠানেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘‘সবুজ উপকূল’’ কর্মসূচি। ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে উপকূল জুড়ে বাস্তবায়িত এই কর্মসূচির আওতায় ভোলাদাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২০১৭ সালে শহীদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সবুজ উপকূল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপকূলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ুয়াদের নিয়ে দেয়াল পত্রিকা “বেলাভূমি” প্রকাশ করে ু। এতে পড়ুয়াদের সৃজনশীল মেধার বিকাশ ঘটছে। আলোকিত জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছে তারা। যা উপকূলকে এগিয়ে নিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে।
---খুলনার পাইকগাছার সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আরজু সুলতানা হ্যাপি। “সবুজ উপকূল” কমসূচির শুরু থেকেই সে যুক্ত রয়েছে। সৃজনশীল প্রতিযোগিতার অংশ রচনায় প্রথম স্থান এবং কবিতা দ্বিতীয় স্থানের পুরস্কার জিতেছে সে। উপকূল নিয়ে লেখালেখি করে। সেক্ষেত্রে উপকূলের সবুজ বাঁচানোর তাগিদ তুলে ধরে তার কবিতা, রচনা ও প্রতিবেদনে। ইতিমধ্যে তার সহপাঠীরাও তার ইতিবাচক কাজে পাশে দাড়িয়েছে। ওদেরকেও সে উপকূলের সবুজ গাছপালা নিয়ে লেখালেখি করার তাগিদ দিচ্ছে।
২০১৭ সালে শহীদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সবুজ উপকূল কর্মসূচির বিশেষ অতিথি পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, দুর্যোগের আঘাতে উপকূলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। উপকূলের পড়–য়ারা সবুজ সম্পর্কে তেমনএকটা সচেতন নয়। ওদের সচেতন করতে পারলে উপকূলে বাঁচবে, সবুজ বাঁচবে। দুর্যোগের কবল থেকে মানুষ বাঁচবে। আশারাখি, “সবুজ উপকূল” কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে উপকূলের মানুষের জীবন অনেকটাই নিরাপদ হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ডি-সার্বেল মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠানে না আসলে আমার অনেক কিছু অজানা থাকতো। সবুজ উপকূল কর্মসূচি বদলে দেবে উপকূলের পরিবেশ। ‘সবুজ উপকূল’ এবং একজন সৃজনশীল মানুষ হিসাবে নিজকে গড়ে তুলতে দেয়াল পত্রিকা ‘বেলাভূমি’ প্রকাশের উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক। কেনান অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মাঝে সৃজনশীলতা আর নান্দনিকতা তৈরিতে একটি ‘সবুজ উপকূল’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখাই যথেষ্ট। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র খরা, অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়াসহ নানান বিরূপ প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। বিভিন্ন সময়ে ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগের ক্ষতচিহ্ন উপকূল জুড়ে এখনও স্পষ্ট। এ অঞ্চলের ঝুঁকি মোকাবেলায় সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্রমাগত হুমকির মুখে উপকূল। ‘সবুজ উপকূল’ কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে উপকূল সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উপকূল সুরক্ষায় রাখবে সহায়ক ভূমিকা।
উপকূল বাঁচাতে সবুজ বেস্টনি উপকূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দূর্যোগের কবল থেকে মানুষ বাঁচবে। আর সবুজ উপকূল কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে উপকূল এলাকায় দূর্যোগ মোকাবেলার ঢাল হিসাবে গড়ে উঠবে সবুজ বেস্টনি। আর এর মাধ্যমে উপকূল অঞ্চলের মানুষের জীবন অনেকটাই হবে নিরাপদ।





আর্কাইভ