শনিবার ● ৯ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় মৃৎ শিল্প মৃত প্রায় ঃ আধুনিক প্রশিক্ষন ও সরকারি সহেতার প্রত্যাশা পাল সম্প্রদায়ের
ডুমুরিয়ায় মৃৎ শিল্প মৃত প্রায় ঃ আধুনিক প্রশিক্ষন ও সরকারি সহেতার প্রত্যাশা পাল সম্প্রদায়ের
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়ায় বিদ্যার দেবী স্বরসতীর মূর্তি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে পাল সম্প্রদায়ের গৃহ বধুরা। এখন মৃৎ শিল্প প্রায় মৃত তাই তারা বেছে নিয়েছে মূর্তি তৈরী সহ নানা পেষার কাজ।তারপরও সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।এ জন্য প্লাস্টিক ও এ্যলমিলিয়ামের ব্যবহার,সরকারি সহেতা এবং আধুনিক প্রশিক্ষনের অভাবকে দায়ী করেন তারা।তবুও পূর্ব পূরেষের আদি পেষা মৃৎ শিল্প তাদের জীবন-জীবিকার সুতায় গাঁথা তাই এ পেষা ছাড়তে পারছে না তারা এমনটি জানিয়েছেন পাল পল্লীর অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে পাল সম্প্রদায়ের জীবন জীবিকার গল্প শুনতে শুনতে বেরিয়ে আসে তাদের সুখ-দুঃখের অনেক কাহিনী।কথা হয় উপজেলার শোলগাতিয়া পালপাড়া এলাকায় দেবী স্বরসতীর মূর্তি তৈরীর কাজে
ব্যস্ত অনিমা পাল ও আয়না পালের সাথে।কাজের ফাঁকে তুলে ধনের তাদের জীবন সংগ্রামের কাহিনী।
অনিমা ও আয়না পাল একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন মৃৎ শিল্প তাদের আদি পেষা।এক সময় মাটির তৈরী হাড়ি-পাতিল, কলসি,মাইঠা সহ নানা সামগ্রী তৈরীতে ব্যস্ত থাকতো তারা। এগুলি বিক্রি করে জীবন সংগ্রামে জয়ী হত তারা।কিন্তু এখন এর ব্যবহার না থাকায় মৃৎ শিল্প মৃত হয়ে পড়েছে প্রায়। তাই তারা
বেছে নিয়েছে মূর্তি তৈরীর কাজ। আর পূরুষেরা বেছে নিয়েছে ব্যবসা-বানিজ্য সহ নানা পেষা। তারা জানান আগামী ৮ পৌষ অনুষ্ঠিত হবে স্বরসতী পূজা,বেশ কয়েক বছর হতেগেল তারা স্বরসতী,কালী,লক্ষী
সহ নানা দেবীর মূর্তি তৈরী করে আসছে।কিন্ত এ কাজেও হার মানতে হচ্ছে তাদের।তারা কালী পূজার পর থেকে স্বরসতী দেবীর মূর্তি তৈরীর কাজ শুরু করে প্রায় ৩ মাস ধরে সময়,শ্রম,মেধা ও অর্থব্যায় করে দু‘জনে মিলে প্রায় ৬‘শ মূর্তি তৈরী করবে বলে জানান।দেবী মূর্তি গুলি কি ভাবে বিক্রিয় হয় ? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন বেশীর ভাগ বাড়ী থেকে বিক্রি হয়ে থাকে।এ ছাড়া পূরুষেরা ভ্যান গাড়ীতে করে কাঠালতলা,মাদারতলা,শাহাপুর,চুকনগর,পাটকেলঘাটা বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে থাকে।যার প্রতিটি দেবী বিক্রি হবে ২ থেকে আড়াই শত টাকা।এদিকে মূর্তি তৈরীর মাটি ক্রয়,সময়, শ্রম,রং তুলি,পোষকে সজ্জিত ও বাজার জাত খরচ বাদ দিলে লাভ বলতে কিছু থাকে না বললে চলে।ফলে ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়া,পোষাক,চিকিৎসা,আত্মিয়তা সহ সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয় তাদের।তার উপর রয়েছে পূজিঁর অভাব।তারা অভিযোগ করে বলেন এ শিল্পে সরকারি কোন সহেতা কখনো পায়নি তারা।ত্রা উপর প্লাস্টিক ও এ্যালমিলিয়ামের ব্যবহার ও আধুনিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা না থাকায় ্এ শিল্প আজ মৃত প্রায়।তবে আধুনিক প্রশিক্ষন ও সরকারি আর্থিক সহেতা পেলে হয়ত একটু সুখের মুখ দেখা যেত এমন প্রত্যাশা তাদের।এ প্রসংগে উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন তাদের বিষয়টি আমলে নেয়া হবে।