মঙ্গলবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছা-কয়রার আলোচিত গাংরখী নদী জন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত
পাইকগাছা-কয়রার আলোচিত গাংরখী নদী জন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছা-কয়রা অবস্থিত দুই উপজেলার আলোচিত শালিকখালী (গাংরখী) নদী নতুন বছরের প্রথম থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেছেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। তিনি মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ কুমখালী বি,বি, বালিকা বিদ্যালয় মাঠে গড়ইখালী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নবাসী গাংরখী নদী উন্মুক্ত করার দাবীতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন। এমপি নূরুল হক বলেন, এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল গাংরখী নদী বছরের পর বছর ইজারা নিয়ে অবৈধ নেট-পাটা দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। ইজারাদার ও তার লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ। ভবিষ্যতে এলাকার মানুষ যাতে ইজারাদার কর্তৃক নির্যাতিত না হয় এবং এলাকার পানি নিস্কাষন ব্যবস্থা নিশ্চিত হয় এ জন্য আগামীতে গাংরখী নদী আর ইজারা দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে ইজারা বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে উপ-আনুষ্ঠানিক পত্র দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এমপি বলেন, আগামী বছরের প্রথম থেকে অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ গাংরখী নদী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামীলীগনেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও কয়রা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার, আ’লীগনেতা গাজী মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী, গোলাম রব্বানী, এসএম আয়ুব আলী, মহাশিষ সরদার, বিএম শফি, আক্তার হোসেন গাইন, কৃষ্ণ মন্ডল, আব্দুস সাত্তার, অবনীষ সরদার, দীলিপ কুমার সানা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, জেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মশিয়ার রহমান। বক্তব্য রাখেন, তরুণ প্রকাশ রায়, তরিকুল ইসলাম সানা, গাউছুর রহমান বিশ্বাস, যুবলীগনেতা শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী, শেখ মাসুদুর রহমান, আজিবর রহমান, জালাল সরদার, পলাশ রায়, আসিফ ইকবাল রনি, মাহফুজুল হক কিনু ও ছাত্রনেতা মনোজ মন্ডল। উল্লেখ্য, পাইকগাছা ও কয়রার গড়ইখালী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী ৭২ একর আয়তনের শালিকখালী (গাংরখী) বদ্ধ নদী ইজারাদার কামরুল গাইন গত ৭ বছর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন।