রবিবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » পরিবেশ » মাগুরার মহম্মদপুরে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত প্রাকৃতিক পরিবেশ
মাগুরার মহম্মদপুরে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত প্রাকৃতিক পরিবেশ
মাগুরা প্রতিনিধি :
শীতকাল এসেছে মাগুরার মহম্মদপুরে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। সদরের ঘোপ বাওড় ও ইছামতির বিলসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন চোখে পড়ছে। অতিথি পাখিদের মনোরম উপস্থিতিতে প্রকৃতিতে এনেছে নতুন রুপ। ভিনদেশি এ সব অতিথি পাখি হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন বয়সি মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। একেক ঋতুতে ধারণ করে একেক রুপ। আর প্রতিটি রুপেই রয়েছে কিছু বিশেষত্ব। শীত ঋতুর বিশেষত্বের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অতিথি পাখি। আর এই অতিথি পাখিই শীতকালের সৌন্দর্য । যার উপস্থিতিতে শীতের প্রকৃতিতে আনে নতুন রুপ। শীতকালে বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের দেশে আসে এসব অতিথি পাখি । বিশে^র যে সব দেশে তীব্র তুষারপাত হয়। সে সব দেশ থেকে এ অতিথি পাখির আগমন ঘটে। কারণ তীব্র তুষারপাতে তাদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। তাই প্রাণ বাঁচাতে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিল-দিঘি-বাওড় বা লেকে এ অতিথি পাখিদের মনোরম উপস্থিতি চোখে পড়ে। আবার একটা নিদিষ্ট সময়ের পরে ওরা চলে যায়। ওরা আমাদের কোন ক্ষতি করেনা। অথচ দূঃখজনক হলেও সত্যি, দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় মহম্মদপুরেও এ পাখি শিকার করা হয়। সরকারী ভাবে নিষেধ বা পত্র-পত্রিকায় লেখা লেখি হলেও অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হয়না। জীবন বাঁচাতে এসে জীবন দিতে হয় ভিনদেশি এ পাখিদের। শীতের শুরুতেই মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসেছে অতিথি পাখি। এসব ভিনদেশী পাখিদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার প্রাকৃতিক পরিবেশ। তবে সদরের ঘোপ বাওড়সহ হাজার বছরের ঐতিহ্য ইছামতির বিলে অতিথি পাখির আগমণ বেশী চোখে পড়ে। ৩৬ হাজার হেক্টর আয়তনের এ বিলটি মধুমতি-নবগঙ্গা এই দুই নদীর মাঝে মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ও পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নসহ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী, লাহুড়িয়া, নোয়াগ্রাম, জয়পুরহাট ও কালনা পর্যন্তু বিস্তৃত।তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও মহম্মদপুর সদর ঘোপ বাওড় ও ঐতিহ্যবাহী ইছামতির বিলে দেখা যায় সারারাত খাবার সংগ্রহ করার পর, ভোর বেলা নিজেদের তৈরী অস্থায়ী বাসস্থানে ক্লান্তি দুর করতে ছুটে চলে এ অতিথি পাখির দল । আবার সন্ধা আগেই দল বেঁধে ছুটে আসে বিল-বাওড় বা জলাশয়ে খাবারের সন্ধানে। এভাবেই চলে তাদের শীতের সময়। শীত শেষে আবার ফিরে যায় নিজ দেশে। উপজেলার ইছামতি বিল পাড়ের মোঃ ওহাব শেখ জানান, প্রতিবছর শীতের সময় আমাদের এলাকায় অতিথি পাখি আসে। আমরাও এ অতিথিদের অপেক্ষায় থাকি। আমরা অতিথিদের খেয়াল রাখি। তাদের উপর নজর রাখি যাতে কেউ শিকার করতে না পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, শীত এলেই উপজেলার বিভিন্ন হাওড়, বিল ও জলাশয়ে হঠাৎ নানা প্রজাতির এ পাখি দেখতে পাওয়া যায়। এ পাখি প্রকৃতির সৌন্দর্য। এদেরকে শিকার করা যাবেনা।