রবিবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » ডুমুরিয়ায় নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মান কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ
ডুমুরিয়ায় নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মান কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি।
ডুমুরিয়ায় নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মান কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।প্রকাশ্যে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে পুকুর আকৃতির গর্তের নীচে লাল (সিলেকশন) বালু না দিয়ে লোকাল বালু ও পরে লোকাল মিশ্রিত লাল বালু দিয়ে গর্ত ভরাট হচ্ছে এমন অভিযোগ এলাকবাসি ও শিক্ষকদের।কাজের এ অনিয়ম দেখে নির্মান তদারকী কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজ বন্ধ করে দিলেও অজ্ঞাত কারনে তা আবার চলছে জোরেসোরে বলেও অভিযোগ তাদের।তবে দায়িক্ত প্রাপ্ত প্রকৌশলী বলছেন কাজে ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় উপজেলার নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের ১ তলার কাজ সম্পন্নর জন্য রেভিনিউ বাজেটের অর্থায়নে ৬৬ লক্ষ,৯৭ হাজার,৫‘শ টাকা বাদ্ধ দেয়া হয়েছে।যার মুল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাট্রিকস ব্রাদার্স কাজটি পেলেও ১ জানুয়ারী থেকে কাজের দায়িক্তভার গ্রহন করেছেন জিকে শপিং প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইটর খুলনার বিকাশ রঞ্জন।আর সাইড দেখছেন ম্যানেজার মোঃ হাবিবুর রহমান।এলাকাবাসির অভিযোগ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর নির্মানের জন্য ২৬৫০ মিলি মিটার ডিপ বিশিষ্ট পুকুর খনন করা হয়েছে বটে,কিন্তু নীতিমালায় ৮৫০ মিলি মিটার লাল বালু দিয়ে ভরটের কথা থাকলেও শুরুতে লোকাল বালু ও পরে লোকাল মিশ্রিত লাল বালু দেয়া হচ্ছে।একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় নির্মান কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার মন্ডলের সাথে।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বেশ সাপাই গাইলেন।পরে উলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র নাথ মিত্র ও স্থানীয় আ‘লীগ নেতা সরদার নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে মেলে অভিযোগের সত্যতা।এতে গভীরক্ষোভ প্রকাশ করে রবীন্দ্র নাথ মিত্র ও স্থানীয় আ‘লীগ নেতা সরদার নজরুল ইসলাম বলেন শুরুতেই এত দূর্নীতি হলে পরে কি হবে।এ সময় নির্মান কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার মন্ডল রেগে উঠে কাজ বন্ধ করে দেন।এর ঘন্টা খানের পর থেকে আবারো অনুরুপভাবে কার্যক্রম শুরু করে তা অব্যহত রয়েছে বলে জানা গেছে।যেখানে লোকাল বালুর কোন কাজনেই সেখানে পাহাড়সম লোকাল বালু স্তুপ করে রাখার কারন কি ? এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যানেজান হাবিবুর রহমান জানান এর কারন তার জানা নেই।শুরুতেই এত অনিয়ম হলে ভাল কাজ হবে কি করে ? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান গর্তে লাল বালু ছাড়া অন্য কোন বালু ব্যবহারের সুযোগ নেই।যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।