শনিবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় ঝঁকিপূর্ন ভবনে পাঠদান ঃ স্কুল ছাড়ছে শিক্ষার্থীরা
ডুমুরিয়ায় ঝঁকিপূর্ন ভবনে পাঠদান ঃ স্কুল ছাড়ছে শিক্ষার্থীরা
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়ায় লতাবুনিয়া বাঁশতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতি ঝঁকিপূর্ন ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।ভবনটি ঝুকিপূর্ন হিসেবে পরিত্যাক্ত ঘোষনার পাঁচ পেরিয়ে গেলেও আজও নির্মান হয়নি নুতন ভবন।এদিকে বিকল্প ভবন না থাকায় ঝুঁকিপূর্ন ভবনে পাঠদানের ফলে ভয়ে স্কুল ত্যাগ ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্য দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।উপায়ন্ত না পেয়ে পাঠদানের জন্য স্থানীয় মন্দির ও ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘর বেছে নিলেও রোধ হচ্ছে না ঝরে পড়া শিশুর সংখ্য।তবে আশার কথা হল চলতি বছরে ভবনটির কাজ শুরু হবে,এমনটি জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর।সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যলয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় ১৯৭২ সালে উপজেলার সাহস ইউনিয়নে
প্রতিষ্ঠিত হয় লতাবুনিয়া বাঁশতলা সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়।প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যহত রেখে আসছে।কিন্ত ২০০৯ সালের প্রাকৃতিক দূর্যোগ আয়লার মুখমুখি হয়ে বিদ্যালয় ভবনটির অর্ধাংশ পানিতে তলিয়ে যায়।এ ভাবে বেশ কিছু দিন লবন পানিতে তলিয়ে থাকার পর ভবনটিতে ধস নামে।এরপর পাঠদানের অযোগ্য হয়ে পড়লে ২০১৩ সালে এটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়।কিন্তু এর পরও থেমে নেই ভবনটিতে শিক্ষা কার্যক্রম।এ নিয়ে কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ কুমার মল্লিক ও সহকারী শিক্ষিকা তাপসী দেবনাথের সাথে।তারা জানান বিকল্প ভবন না থাকায় ভবনটির কিছু অংশ আজও ব্যবহার করা হচ্ছে।তারা আরো জানান ইত পূর্বে স্থানীয় মন্দিরে পাঠদান চলছিল।কিন্তু মন্দিরটি প্রতিনিয়ত লোক সমাগম থাকায় ছোট্টএকটি কুড়ে ঘর বেঁধে নেয়া হয়েছে। তাতেওসংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অতিঝূকিপূর্ন ভবনটি ব্যবহার করতে হচ্ছে।যে কারনে দিনে দিনে শিক্ষার্থী ঝরে পড়াসহ স্কুল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।দু‘বছর আগে যেখানে ছাত্র-ছাত্রী ছিল ১৪৫ জন ,সেখানে এখন রয়েছে মাত্র ৩৬ জন।যা কোন ক্রমে রোধ হচ্ছে না।কথা হয় স্কুল ত্যাগ করা শিক্ষার্থী ৪র্থ শ্রেনীর সর্মি গাইন,স্বর্নালী বালা,৩য় শ্রেনীর প্রান্ত বালা,কয়েল মন্ডল সহ অনেকের সাথে।তারা জানান ভবনটি ধসে অনেকে আহত হয়েছে।এ ছাড়া নুতন ভবনের কোন আলামত না দেখে এবং বড় ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে আমরা স্কুল ছেড়ে খুটাখালী ও শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি।কথা হয় টি সি নিতে আসা অভিভাবক শিল্পী রায় ও লক্ষী রায়ের সাথে।তারা জানান ভবনটি দেখলে বুঝা যাবে এটি কতটা ঝুকিপূর্ন, শিক্ষা গ্রহনের চেয়ে জীবনের মুল্য অনেক বেশী,তাই টিসি নিতে এসেছি বাচ্ছাদের অন্যস্কুলে ভর্তি করব।
এ প্রসংগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিএম আলমগীর কবির জানান বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যাক্ত
ঘোষনার পর নুতন ভবনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।কবে নাগাত এ ভবনের কাজ শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান এ বছরেই এর কাজ শুরু।এ প্রসংগে শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর জানান বিদ্যালয়টি কয়েকবার পরিদর্শন করা হয়েছে।
ওইভবনে ক্লাস না নিতে শিক্ষকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।তবে এবছরে কাজ শুরু হবেএতে সন্দেহ নেই।