শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় সজনা গাছ সাদা ফুলে ভরে গেছে
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় সজনা গাছ সাদা ফুলে ভরে গেছে
১২৬১ বার পঠিত
শনিবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় সজনা গাছ সাদা ফুলে ভরে গেছে

---
প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা ॥
পাইকগাছায় সজনা গাছগুলো ধবধবে সাদা ফুলে ভরে গেছে। ডালগুলির গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজনা গাছের পাতা ঝরে পড়ে। তাই পাতা শুন্য নাড়া ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলেই মহিত হয়।
সজনে বিশ্বের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বৃক্ষ। এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজনার পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায় জন্যই হয় তো, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজনের পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুনও আছে। তাই সজনে গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। সজনের পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধী গুন তো আছেই। সজনের পাতায় যে পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা অনেক পুষ্টিকর খাবারেও নেই। যেমন, ডিমের চেয়ে বেশী আমিষ, দুধের চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, কমলার চেয়ে বেশী ভিটামিন সি, কলার চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, গাজরের চেয়ে বেশী ভিটামিন এ আছে। তাছাড়া সজনার পাতা গুড়ো করে খাওয়ায় অন্তত ১৬টি উপকারী কথা জানা গেছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম দেহে রোগ প্রতিরোধ মতা বৃদ্ধি করে, বিপাকক্রিয়া ভালো রাখে, চোখ ও মস্তিস্কের পুষ্টি যোগায় প্রভৃতি। সজনে সবজি যেমন উপদেয় এর ভেজষ গুনও অসাধারণ। মৌসুমী নানা রোগব্যাধী নিরাময় ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষ করে জন্ডিস, বসন্ত, মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা প্রাচীনকাল থেকে সজনে নানা ব্যবহার করে আসছে ইউনিয়ানী ও আয়ূর্বেদ চিকিৎসকরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২শত ২৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৪৯ হাজার ২৫০ শত গাছ আছে। প্রতি বাড়ীতে কমপক্ষে ৩/৪ টি গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ীর পাশে ও ক্ষেতের আইলে লাগানো। গাছে ফলনও বেশী হয়। যতœ ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। চলতি মৌসুম পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ২১ হাজার সজনের ডাল রোপন করা হয়েছে। দেশে ২টি জাত আছে সজনে ও নজনে। সজনের ফুল আসে জানুয়ারীতে আর নজনে ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় ১৫০টি মত ফুল হয়। ফুল ৪০ সেঃ মিঃ থেকে ৮০ সেঃ মিঃ পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪’শ থেকে ৫’শ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০-৪০ টি বীজ হয়। গাছ প্রতি সর্বোচ্চ ৩০/৭০ কেজি ফল পাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে সজনের কেজি ৮০/৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করে সজনে গাছ লাগানো হয়। ভারত থেকে হাইব্রিড সজনের জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজনে গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্র“য়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস। গত বছর উপজেলায় ৬ হাজার ২ শত সজনের ডাল রোপন করা হয়েছে। বিগত মৌসুমে ২৫ হাজার ৬শত সজনের ডাল রোপন করা হয়েছে। সজনের মৌসুম শেষে এ বছরও ডাল রোপন করা হবে। সজনে চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজনের ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজনে গাছ যতœ ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজনে পুষ্টি ও ভেজষ গুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী। সজনের ব্যাপক চাহিদা ও উচ্চ মুল্যে বিক্রি হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এখন পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে সজনে গাছ লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলার প্রতি বাড়ীতে ৫/৬টি করে সজনে গাছ আছে। এ বছর সজনে গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। বড় ধরণের দূর্যোগ না হলে সজনের বাম্পার ফলন আশা করা যায়। সজনে পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজনে ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতি বছর উপজেলায় সজনে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সজনের উচ্চমুল্য পাওয়ায় তারা লাভবানও হচ্ছে।





কৃষি এর আরও খবর

খুলনায় তিন দিনব্যাপী ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন খুলনায় তিন দিনব্যাপী ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন
পাইকগাছায় কৃষি প্রযুক্তি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ পাইকগাছায় কৃষি প্রযুক্তি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ
পাইকগাছায় ক্লাইমেট- স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ধোধন পাইকগাছায় ক্লাইমেট- স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ধোধন
পাইকগাছায় তরমুজ চা‌ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা পাইকগাছায় তরমুজ চা‌ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
নড়াইলে কৃষি কাজে তিন ভাইয়ের সাফল্য, প্রতি মাসে আয় প্রায় লাখ টাকা নড়াইলে কৃষি কাজে তিন ভাইয়ের সাফল্য, প্রতি মাসে আয় প্রায় লাখ টাকা
আশাশুনিতে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা আশাশুনিতে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা
নড়াইলে সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে বেড়েছে সরিষার চাষাবাদ নড়াইলে সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে বেড়েছে সরিষার চাষাবাদ
খুলনায় গ্রিন ডেইরি পার্টনারশিপ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত খুলনায় গ্রিন ডেইরি পার্টনারশিপ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
পাইকগাছায় মাছ আহরণোত্তর পরিচর্চা ও সংরক্ষণ কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ পাইকগাছায় মাছ আহরণোত্তর পরিচর্চা ও সংরক্ষণ কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ
মাগুরার মাঠে মাঠে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক মাগুরার মাঠে মাঠে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক

আর্কাইভ