শুক্রবার ● ২৩ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » যথাযথ সংরক্ষের অভাবে মাগুরা স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভটির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে
যথাযথ সংরক্ষের অভাবে মাগুরা স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভটির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে
মাগুরা প্রতিনিধি॥
মাগুরায় স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৩ সালে শহরের প্রাণকেন্দ্র বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান সড়কে ভায়না মোড়ে স্থাপন করা হয় স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ। অস্ত্রের বুলেটের আদলে স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি। স্মৃতিস্তম্ভটি নিচের অংশে স্বাধীনতা যুদ্ধে মাগুরায় শহীদদের নাম লিপিবদ্ধ আছে । প্রথম কয়েক বছর স্মৃতিস্তম্ভটি পরিবেশ নষ্ট না হলেও পরবতীতে অনেকাংশে নষ্ট হয়েছে । বর্তমানে স্মৃতিস্তম্ভটি চারপাশে সিকল বেশিষ্ট না থাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সভার পোষ্টার লাগানো হয় । যা স্মৃতিস্তম্ভটি পরিবেশ নষ্ট করছে । মাগুরা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে স্মৃতিস্তম্ভে পোষ্টার লাগানো নিষেধ এ রকম সাইন বোর্ড লাগানো হলেও তা মানছে কেউ । শহরের কোন উৎসব বা বড় ধরনের কোন রাজতৈনিক নেতার আগমন ঘটলে স্মৃতিস্তম্ভ ঘিরে বড় বড় ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে ঘিরে রাখা হয় যা দৃষ্টি কটু । দেশের জন্য যুদ্ধ করে যারা আমাদের স্বাধীনতা এনেছে তাদের স্মৃতির জন্যই তো স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি কিন্তু তা রক্ষার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন ভূমিকা নেই ।
মাগুরায় নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভটি তেমন আর্কষনীয় না হওয়ায় মাগুরাবাসীকে তা আকৃষ্ট করতে পারেনি । অন্য জেলাতে যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র হাতে দিয়ে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি হয়েছে যা অনেক আর্কষনীয় । মাগুরার এ স্মৃতিস্তম্ভ সম্পর্কে সদরের নিশ্চিত গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম জানান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরনে মাগুরা ভায়না মোড়ে স্মৃতিস্তম্ভটি পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে যা পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে । এটি রক্ষা করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব । একজন বিবেকবান মানুষ যদি শহীদ স্তমেÍ পোষ্টার মারে তাহলে সে মানুষের আওতায় পড়ে না । যথাযথ কতৃপক্ষের কোন ভূমিকা না থাকাই আমরা অনেকাংশে বিশ্মিত হয়েছি । এ সম্পর্কে যুবলীগ নেতা স্বপন চুকদার বলেন , বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে । স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা আতœহতী দিয়েছেন তাদের স্মৃতি উদ্দেশ্য এ স্মৃতিস্তম্ভটি । কিন্ত বর্তমানে মাগুরা স্মৃতিস্তম্ভে পোষ্টারে ডেকে থাকায় তা অরক্ষিত হয়েছে । আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করছি যে , অবিলম্বে এটিকে রক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক । শহরের খান পাড়ার সচেতন নাগরিক রিফাত খান বলেন , স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি হওয়ায় মাগুরাবাসী অনেক গর্বিত । কিন্ত স্মৃতিস্তম্ভে দিন দিন পোষ্টারে ছেয়ে থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হচ্ছে। আমরা একটু সচেতন হলেই স্মৃতিস্তম্ভটির পরিবেশ রক্ষা করতে পারি ।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান , মাগুরা ভায়না মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভটির চারপাশে পোষ্টার দিয়ে ছেয়ে থাকার কারণে স্মৃতিস্তম্ভটির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে স্মৃতিস্তম্ভটির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা মাগুরা পৌরসভাকে বার বার অবগত করেছি কিন্ত কোন ফল হয়নি । স্মৃতিস্তম্ভটির সংস্কার বা পুন: নির্মানের জন্য আমরা ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়েছি এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা গণপূর্ত প্রকৌশলীকে প্রধান করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছি । যারা একটি সভা করে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে । তারপর এটি আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।