শনিবার ● ২৪ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় সজনের বাম্পার ফলন; আশানুরূপ মূল্যতে কৃষক খুশি
পাইকগাছায় সজনের বাম্পার ফলন; আশানুরূপ মূল্যতে কৃষক খুশি
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় সজনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। সজনে চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। মূল্যবেশি পাওয়ায় কৃষকরা সজনের ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজনে গাছ যতœ ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজনে পুষ্টি ও ভেজষ গুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী। সজনের ব্যাপক চাহিদা ও উচ্চ মুল্যে বিক্রি হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এখন পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে সজনে গাছ লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২শত ২৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৪৯ হাজার ২৫০ শত গাছ আছে। প্রতি বাড়ীতে কমপক্ষে ৩/৪ টি গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ীর পাশে ও ক্ষেতের আইলে লাগানো। গাছে ফলনও বেশী হয়। যতœ ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। দেশে ২টি জাত আছে সজনে ও নজনে। সজনের ফুল আসে জানুয়ারীতে আর নজনে ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় ১৫০টি মত ফুল হয়। ফুল ৪০ সেঃ মিঃ থেকে ৮০ সেঃ মিঃ পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪’শ থেকে ৫’শ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০-৪০ টি বীজ হয়। গাছ প্রতি সর্বোচ্চ ৩০/৭০ কেজি ফল পাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে সজনের কেজি ৮০/৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করে সজনে গাছ লাগানো হয়। ভারত থেকে হাইব্রিড সজনের জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজনে গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্র“য়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস। বিগত মৌসুমে ২৫ হাজার ৬শত সজনের ডাল রোপন করা হয়েছে। সজনের মৌসুম শেষে এ বছরও ডাল রোপন করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলার প্রতি বাড়ীতে ৫/৬টি করে সজনে গাছ আছে। সজনে পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজনে ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতি বছর উপজেলায় সজনে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সজনের উচ্চমুল্য পাওয়ায় তারা লাভবানও হচ্ছে।