সোমবার ● ২ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » খুলনার ডুমুরিয়ায় মিকশিমিল রুদঘরা উচ্চ বিদ্যালয় পরিত্যক্ত ভবনে পাঠ দান
খুলনার ডুমুরিয়ায় মিকশিমিল রুদঘরা উচ্চ বিদ্যালয় পরিত্যক্ত ভবনে পাঠ দান
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া।
খুলনার ডুমুরিয়ার মিকশিমিল রুদঘরা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেনী কক্ষ সংকটে ১১৮ বছরের পুরাতন পরিত্যাক্ত ভবনে আজও চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ফলে ঝুঁকি ও ভোগান্তী মাথায় নিয়ে চলছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শ্রেনী কক্ষ সংকটে বাধ্য হয়ে চুন-সূরকির গাথনী অতি ঝুঁকিপূর্ন এই ভবনটি পাঠদানের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করতে হচ্ছে এমনটি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আর কবে নাগাত এই ভোগান্তী দূরহবে, জানা নেই কর্তৃপক্ষের। তবে আশার কথা হল শিঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহন করাহবে এমনটি জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী। সরোজমিনে গিয়ে কথা হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসির সাথে। তারা জানান ডুমুরিয়া উপজেলার ৬৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম তালিকায় এটি। ১৮৮৭ সালে ছোট একটি কুঁড়ে ঘর দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তৎকালীন আমলের স্থানীয় হিরাময় কুমার মিত্র নামের এক ব্যাক্তি। শুরুতে মাত্র ৩ জন শিক্ষক শিথানাথ চক্রবর্ত্তী, প্রিয়নাথ ঘোষ ও মৌলভী আঃ রহমান অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতার দায়িত্ব ভারগ্রহন করেন। এরপর ১৯০০ সালে ভবন চুন-সূরকীর গাথনী একটি দ্বিতলা ভবন নির্মানের মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ভবনটি২০০৮ সালে পরিত্যাক্ত বলে ঘোষনা দেয়া হয়। কিন্তু তার পরও থেমে নেই ভবনটিতে পাঠদান। কিন্তু কেন ঝুঁকি ও ভোগান্তী মাথায় নিয়ে পরিত্যাক্ত এ ভবনে পাঠদান চলছে ? এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালামজায়াদ্দার জানান,বিদ্যালয়টিতে এখন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্য ৭৫০। যে কারনে প্রতিটি শ্রেনী ক,খ,ও গ এই তিনটি গ্রুপে বিভাক্ত করা হয়েছে। যেখানে ২১টি শ্রেনী কক্ষের প্রয়োজন সেখানে রয়েছে মাত্র ১৫টি শ্রেনী কক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভবনটি পাঠদানের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এখানে নেই বিজ্ঞানাগার, পুস্তাকাগার ও কম্পিউটার ল্যাব। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে জানিয়েও কোন ফল হয়নি। কথা হয় বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র জয়, দশম শ্রেনীর ছাত্রী রিয়াসহ অনেক ছাত্র-ছাত্রীর সাথে। তারা জানান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্য বেশী হওয়ায় শুধু ঝুঁকিপূর্ন ভবন নয়, অনেক সময় তিন গ্রুপ এককরে ক্লাস নেয়া হয়। এতে ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়। এটি যেমনি ভোগান্তীর তেমনি লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হয়। বিষয়টি স্যারদের জানিয়েও কোন ফল হয়নি। কথা হয় সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ তকিম উদ্দিন সরদার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ রোস্তম আলী সরদার, অধির কুমার সাহাসহ স্থানীয় অনেকের সাথে। তারা জানান বিদ্যালয়টি সুনামে প্রথম শ্রেনীর হলে কি হবে,ভবন ও অন্যান্য উপকরনে বড় পিছিয়ে আছে। এমন একটি বিদ্যালয়ের অবস্থা এমন হওয়ার কথা ছিলনা, জানিনা কবে এর উন্নতি ঘটবে। এ প্রসংগে উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর জানান বিষয়টি মাথায় আছে। কথা হয় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের সাথে, তিনি জানান শিঘ্রই বিদ্যালয়টিতে একটি নুতন ভবনের ব্যবস্থা করা হবে।