বুধবার ● ১৬ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » চিত্রবিচিত্র » গবাদিপশুর আবাসিক হোটেল
গবাদিপশুর আবাসিক হোটেল
এস ডব্লিউ নিউজ।
যশোরের কেশবপুরে গরু-মহিষ ও ছাগলের জন্য আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে। দূর-দূরান্ত থেকে হাটে নিয়ে আসা গরু, মহিষ ও ছাগলের রাত্রি যাপনের জন্য আবাসিক হোটেলটি গড়ে তুলেছেন আবদুল মজিদ।
উপজেলা শহর থেকে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সড়কে ঢুকেই পশু হাটের উত্তর পাশে টিনের ছাউনি দেওয়া আবদুল মজিদের বাড়িটি। বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে চোখে পড়লো বিভিন্ন আকৃতির ঘরে গবাদিপশু রাখার জন্য চার সারি দড়ি বাঁধার হুক। আর এটিই সেই আবাসিক হোটেল।
জানা গেছে, হাটে বিক্রি না হওয়া গরু এ হোটেলে রাখা হয়। এতে গরু প্রতি খরচ হয় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। তবে খরচের তুলনায় সুবিধাই বেশি বলে জানালেন স্থানীয় অনেকে।
বরিশালের গরু ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান ও আদম আলী ব্যাপারী বলেন, হাট থেকে গরু কিনে ওইদিন রাতেই গাড়িতে লোড করা খুব ঝামেলা। তাই গরু এই হোটেলে এক রাত রেখে পরদিন সকালে গন্তব্যে নিয়ে যাই। তিনি বলেন, হোটেলে গবাদিপশুর প্রায় সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। রয়েছে গোসলের সু-ব্যবস্থা। তাছাড়া গরুর রাখালের জন্যেও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
গবাদিপশুর হোটেলের মালিক আবদুল মজিদ বলেন, আগে ১০ থেকে ১২টি গরু-মহিষ রাখার মতো ক্ষুদ্র পরিসরে হোটেল চালু করেন। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দুই বছর আগে ১৯ শতাংশ জমির ওপর ৬৫ থেকে ৭০টি গরু-মহিষ ও ছাগল রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোটেল থেকে মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা আয় হয়। আগামীতে এটি আরো বড় করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি