বুধবার ● ১৬ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে যুবলীগনেতার মৎস্য লীজ ঘের দখল; থানায় অভিযোগ
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে যুবলীগনেতার মৎস্য লীজ ঘের দখল; থানায় অভিযোগ
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় যুবলীগ নেতা অনুপ কুমার ঘোষের মৎস্য লীজঘের জবরদখল করায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষভের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তি হয়ে এমপি আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ নূরুল হক পৌরযুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেনকে দিয়ে উপজেলা যুবলীগ নেতা অনুপ কুমার ঘোষের লীজ ঘেরটি জবরদখল করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার গদাইপুর গ্রামের মৃত নরেন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র যুবলীগনেতা অনুপ কুমার ঘোষ কয়েক বছর যাবৎ বাইশারাবাদ মৌজায় প্রায় ১২ বিঘা জমিতে জমির মালিকদের কাছ থেকে লীজ ডিড নিয়ে ও এফসিডিআই প্রকল্পের অনুমোদন নিয়ে মৎস্য ধান চাষ করে আসছে। গত ১৩ মে রবিবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় পাইকগাছা পৌরসভার সরল ৫ নং ওয়ার্ডের করিম গাজীর পুত্র জাহিদুল গাজী তার লোকজন নিয়ে অনুপ ঘোষের লীজ ঘের জবর দখল করে। জবরদখলকারী জাহিদ জানায়, এমপি’র নির্দেশে ঘের দখল করা হয়েছে। ওই রাতেই অনুপ কুমার ঘোষ পাইকগাছা থানায় জাহিদুল গাজী সহ ৬-৭ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সোমবার সকালে এসআই শরীফ উদ্দীন লীজ ঘের পরিদর্শনে গেলে জবর দখলকারীরা টের পেয়ে পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে আবারও তারা অনুপ্রবেশ করেছে। উল্লেখ্য, অনুপ ঘোষ এমপি’র একনিষ্ট কর্মী হিসাবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি ছিল। বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি অনুপ কুমার ঘোষ প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের কয়রা ও পাইকগাছা জনসভায় যোগদান ও তার পক্ষে কাজ করায় সে এমপি’র রোসানলে পড়ে। এ কারণে অনুপ ঘোষের মৎস্য লীজ ঘের দখল করার ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ধারণা করছে। তাছাড়া ঘের দখলের রাতে অনুপ ঘোষের ভাইপো সুমন ঘোষ ঘেরে অবস্থান করার সময় এমপি নূরুল হক জাহিদকে ফোন করে জানায়, পুলিশ ঘেরে যাবে না তোমরা নিশ্চিন্তে ঘেরে থাকো। যা মোবাইল ফোনে লাউড স্পিকার দিয়ে সুমন ঘোষকে শোনায় জাহিদ। এ বিষয়ে এমপি নুরুল হককের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুপ আমাকে ভুলে গেছে। সে আমাকে চেনে না। সে অনেক বড় নেতা হয়ে গেছে। তার ঘের দখল করবে কার এতো ক্ষমতা। ঘের দখলের জন্য কাউকে পাঠাইনি ও তারা কি জন্য ঘের দখল করেছে তা তিনি জানেন না। তিনি আরো বলেন, কয়েক গণ মাছ ধরা বন্ধ থাক, আমি পাইকগাছায় এসে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিবো। এ বিষয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, থানায় অভিযোগ করার সময় তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন। থানায় ফিরে আসার পরে অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি নিস্পত্তি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।