সোমবার ● ২৮ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » “এসপি স্যারের কার্যক্রমে ভীষণ খুশি হয়েছি”-ভূক্তভোগী এক মা
“এসপি স্যারের কার্যক্রমে ভীষণ খুশি হয়েছি”-ভূক্তভোগী এক মা
ফরহাদ খান, নড়াইল
‘এসপি স্যারের কার্যক্রমে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। এতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। স্যার নড়াইলবাসীর হৃদয়ে সত্যিকার স্থান করে নেবেন।’ কথাগুলো বলছিলেন ভূক্তভোগী এক মা। ভূক্তভোগী মা রেকসোনা পারভীনের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর গ্রামে।
অভিযোগে জানা যায়, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে পলিটেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর এলাকার আবু নাইমকে গত বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় জয়পুর মোড় থেকে আটক করে তার মা রেকসোনা পারভীনের কাছে টাকা দাবি করেন লোহাগড়া থানার দুই এএসআই সুজন ফকির ও ইসমাইল হোসেন। ভূক্তভোগী রেকসোনা পারভীন বিষয়টি নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম’কে জানালে তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। শনিবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এএসআই সুজন ও ইসমাইলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নড়াইল পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়।
রেকসোনা পারভীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার ছেলে আবু নাইম বাড়ির পাশে এক বন্ধুর সাথে গল্প করছিলো। এ সময় অভিযুক্ত দুই এএসআই আমার ছেলেসহ তার বন্ধুকে আটক করে নিয়ে যায়। ওইদিন (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার দিকে মোটা অংকের টাকায় নাইমের বন্ধু শাওনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিকে আমার কাছে চার হাজার টাকা দাবি করে তারা। পরবর্তীতে সেই টাকা দিলেও নাইমকে ছাড়েনি ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে এএসআই সুজন ফকির আমাকে বলেন-চার হাজার টাকা দেয়ায় আমার ছেলের বিরুদ্ধে ১০ পিস ইয়াবার মামলা হয়েছে। আর টাকা না দিলে ৫২ পিস ইয়াবার মামলা হতো। বিষয়টি নড়াইলের পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। নাইম জয়পুর এলাকার আবু সাইদ বাবুলের ছেলে।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন পেশার মানুষ বলেন, আমাদের দেশে এমন পুলিশ কর্মকর্তারই (মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন) প্রয়োজন। তাহলে সাধারণ মানুষ পুলিশের হয়রানি থেকে যেমন মুক্তি পাবেন, তেমনি পুলিশ বিভাগের ভাবমর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।