রবিবার ● ৩ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-ছোট সে তরী…!
‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-ছোট সে তরী…!
ফরহাদ খান, নড়াইল।
‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-ছোট সে তরী/আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি…।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কবিতায় সোনালি ধানের ভারে নিঃসঙ্গ কৃষকের যেমন ঠাঁই হয়নি নৌকায়; তেমনি হাসপাতালে রোগির চাপে বিছানায় স্থান পায়নি ১৪ দিনের এই নবজাতকটিও। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে প্রায়ই এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। গতকাল শনিবারসহ আজও এমন দৃশ্য হাসপাতালে দেখা যায়। ১৪ দিনের এই নবজাতকসহ অনেকেরই স্থান হয়েছে হাসপাতালের বারান্দায়। গরমে অতিষ্ঠ রোগি ও তাদের স্বজনেরা মেঝোতে শুয়ে-বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভূক্তভোগীরা বলেন, হাসপাতালের বারান্দায় নবজাতকসহ অন্যান্য রোগিদের চিকিৎসাসেবা স্মরণ করিয়ে দেয় কতটা সংকট চলছে এখানে। এরই মধ্যে গত ৩০ মে বুধবার নড়াইলে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডাঃ মুন্সী আসাদ-উজ-জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুল আরিফ, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জসিম উদ্দিন হাওলাদার, জেলা স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আঞ্জুমান আরা বেগম, যুগ্মআহ্বায়ক হাফিজ খান মিলনসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
নড়াইল সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় ডাক্তার, জনবল, ওষুধ সরবরাহসহ জেলার গণমানুষের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।