বুধবার ● ৬ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » কপিলমুনিতে শালিসী বৈঠকে দু’পক্ষের গোলযোগ ইউপি সদস্যকে জড়িয়ে মামলায় ক্ষুব্ধ মেম্বররা ইউনিয়ন পরিষদ বর্জন করেছেন
কপিলমুনিতে শালিসী বৈঠকে দু’পক্ষের গোলযোগ ইউপি সদস্যকে জড়িয়ে মামলায় ক্ষুব্ধ মেম্বররা ইউনিয়ন পরিষদ বর্জন করেছেন
কপিলমুনি প্রতিনিধি:
জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় ইউপিতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শালীসী বৈঠকে দু’পক্ষের গোলযোগে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন কম বেশী আহত হয়েছে। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যসহ ৯ জনকে আসামী করে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ জুন সকালে উপজেলার কপিলমুনির দক্ষিণ সলুয়া গ্রামে। এদিকে প্রকৃত ঘটনা আাঁড়াল করে ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুকে জড়িয়ে মামলার প্রতিবাদে সম্মিলিতভাবে পরিষদ বর্জন করেছেন সংশ্লিষ্ট পরিষদের সদস্যরা। তাদের দাবি,পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালীসী বৈঠকে দু’পক্ষের গোলযোগে চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে ইউপি সদস্যকে আসামী করা হল? ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও মিন্টুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হওয়া না পর্যন্ত তারা পরিষদে ফিরে যাবেননা বলেও আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে,জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের হিসেবে সম্প্রতি উপজেলার দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের মৃত নওয়াব আলী গাজীর ছেলে মতিয়ার গাজী গংরা প্রতিবেশী জহর গাজী গংদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কপিলমুনি ইউপিতে একটি অভিযোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়াদ্দারের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুসহ স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিদেও নিয়ে ৫ জুন সকালে দক্ষিণ সলুয়াস্থ ঘটনাস্থলে একটি শালিসী বসে। এসময় উভয় পক্ষের বাক্-বিতন্ডার একপর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের উপেক্ষা করে মোতিয়ার গং সংঘবদ্ধভাবে প্রতিপক্ষদের উপর হামলা করে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন কমবেশী আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনায় দক্ষিণ সলুয়ার মৃত জরীপ গাজীর ছেলে হাশেম গাজী বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত চাঁদ আলী গাজীর ছেলে জহর গাজী(৪০)কে প্রধান করে ইউপি সদস্য স্থানীয় আহম্মদ মোড়লের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মোড়লকে জড়িয়ে মোট ৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। যার নং ১২। ধারা ১৪৩/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩৭৯/ ৩৮০/ ৩৫৪/ ৪২৭/ ১১৪ ও ৫০৬। ঘটনার পর গতকাল বুধবার মামলার আইও পাইকগাছা থানার এসআই মোঃ নাজমুল হুদা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মামলার আলামত জব্দ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পরিষদে দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে শালিসী বৈঠকে দু’পক্ষের গোলযোগ ও পরিকল্পিতভাবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুকে জড়িয়ে মামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ইউপির অন্যন্য সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মিন্টুর মামলায় সম্পৃক্ততা নিয়ে পরিষদ বর্জন করেছেন।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপির ২ নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম বলেন,সম্পূর্ণ পরিকল্পিভাবে মোস্তাফিজুরকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। শালিসী বৈঠকে উপস্থিত মিন্টু আসামী হলে চেয়ারম্যান বাদ গেলেন কি করে? এসব প্রশ্ন রেখেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া অপর ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন,আজিজ বিশ্বাস,সালাম মোড়ল,আঃরাজ্জাকসহ অন্যান্যরা একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন,ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা পরিষদে ফিরে যাবেননা। তবে ঈদকে সামনে রেখে পরিষদের উপকারভোগীদের ভোগান্তির কথা জানতে চাইলে তারা বলেন,বিষয়গুলি চেয়ারম্যানই টেকআপ করবেন।